দেশে প্রথমবারের মত ‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯ উদযাপিত হয়েছে গত ৪ ডিসেম্বর, বুধবার ২০১৯। বস্ত্রখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের সমন্বিত অংশগ্রহণে এই দিবসটি উদযাপিত হয়।
যার মূল পর্ব আজ ৯ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উক্ত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন এবং সাথে উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
‘জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০১৯’ দিবসের মূল অনুষ্ঠান ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী বহুমুখী বস্ত্র মেলা আয়োজন করা হয়েছে। তবে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণ গণনার কাউন্টডাউন শুরু উপলক্ষে মেলা বন্ধ থাকবে।
মেলায় প্রায় দেড়শোটি স্টল আছে। ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের এসব স্টলে স্থান পেয়েছে দেশীয় পোশাক, ঐতিহ্য এবং পোশাক তৈরির কাঁচামাল।
আজ বস্ত্র দিবসের গুরুত্ব এবং বস্ত্র সংক্রান্ত বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৯ ক্যাটাগরিতে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরষ্কার পেয়েছেন যেসব অ্যাসোসিয়েশন বা প্রতিষ্ঠান: বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ), বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ), বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং হাউস অ্যাসোসিয়েশন (বিজিবিএ), বাংলাদেশ স্পেশালাইজড টেক্সটাইল মিলস অ্যান্ড পাওয়ারলুম ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএসটিএমপিআইএ), বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল অ্যান্ড লিলেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিটিটিএলএমইএ), বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় (বুটেক্স), বাংলাদেশ কটন অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএ), বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ (এনসিসিবি)।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বরকে “জাতীয় বস্ত্র দিবস” হিসেবে পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অর্ন্তভূক্ত করার প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা