সকালের ঝিরিঝিরি বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশ বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে দিয়ে শুরু হলেও দুপুরে রোদের দেখা মেলে এসএমই পণ্য মেলা রাজশাহী-২০২০ এর দ্বিতীয় দিনে। গতকাল রাজশাহী কালেক্টর মাঠে মেলার শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় মেয়র, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন জনাব এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। মেলার দ্বিতীয় দিনে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সকাল থেকে দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল কিছুটা কম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ক্রেতা দর্শনার্থীর বেশ সমাগম চোখে পরে। মেলা ঘুরে কয়েকজন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সাথে মেলায় উপস্থিতি ও অনুভুতি নিয়ে কথা হলে তারা তাঁদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
পাটবাজারের সত্ত্বাধিকারী উম্মে হাজ সিদ্দিকা মেলা বিষয়ে বলেন, গতদিন দর্শক সমাগম কিছুটা কম ছিল তারপরও বেচাকেনা করেছেন আশানুরুপ। আজ মেলা জমে উঠবে আশা করছেন। তিনি পাটের তৈরী বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে স্টল সাজিয়েছেন। পাটের তৈরী হ্যান্ড ব্যাগ, ক্যারিব্যাগ, স্কুল ব্যাগ, টিফিন ব্যাগ, কবি ব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগ, হোম ডেকর, ছিকা, দোলনা, পুতুল ইত্যাদি। তিনি ২০০৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। ২০১৬ সালে অলকার মোরে একটি শোরুম দিয়েছেন। মেলায় এসে তিনি তার অনুভুতির বিষয়ে বলেন, এখানে এসে প্রচার-প্রসার এর কাজটি করতে পারছি, অনেক পুরনো নতুন মানুষের সাথে দেখা হচ্ছে সাথে বেচা-কেনা, সব মিলিয়ে খুবই ভাল লাগছে।
মেসার্স মুনলাইট হেলথ এন্ড হাইজিন প্রাঃ লিমিটেড নির্বাহী পরিচালক ওয়াকার হাসান মাহমুদ বলেন- “রাজশাহী জেলায় আমরাই প্রথম সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যকর হাইজিন পদ্ধতিতে ন্যাপকিন টিস্যু তৈরী করছি যেমন জলি স্যানেটরি ন্যাপকিন, জলি উইংস আলট্রা, জলি বেবি ডাইপার রেগুলার, জলি ফেসিয়াল টিস্যু, জলি ন্যাপকিন টিস্যু, জলি এন্ড লাভলি টয়লেট টিস্যু, জলি পকেট টিস্যু, জলি ওয়েট টিস্যু, জলি কিচেন টাওয়েল ইত্যাদি। এই পণ্যগুলো তারা রাজশাহীতে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করে আসছেন। মেলায় অংশগ্রহণের উদ্দেশ্য হলো- এখনো রাজশাহী বাসির অনেকেই আমাদের এই পণ্যের সাথে পরিচিত নয়। মূলত পণ্যের পরিচিতি, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিতকরণ এসব নিয়ে আমরা দর্শনার্থীদের সাথে মত বিনিময় করছি। মেলায় বেশ সাড়া পাচ্ছি সাথে বেচাকেনাও বেশ ভালো।”
মেসার্স ন্যাচুরা এগ্রো প্রসেসিং লিঃ এর স্টলে দেখা মিললো ন্যাচুরা রাইস ব্রানওয়েল, ন্যাচুরা সয়াবিন তেল, চিনিগুরা চাল, মসুর ডাল, এগ নডুলস, টেস্টি স্যালাইন, লবন, চিপস, টোষ্ট ইত্যাদি। মেলা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পণ্যের উপর থাকছে তাদের বিশেষ ছাড়। মেলায় প্রথম অংশগ্রহণ কিন্তু গতদিন থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর বেশ সাড়া পাচ্ছেন তারা।
দুপুর সাড়ে তিনটায় মেলা প্রাঙ্গনে ডিবেট এর আয়োজন করা হয়। ডিবেটের বিষয়বস্তু ছিল “এসএমই হোক বাজার শিল্পসম্প্রসারণের হাতিয়ার “। এতে অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু কলেজের পক্ষে তাসমিয়া নূর, শোভা হাসনাত মেঘা, নিলয় মেহেদি এবং শহীদ বুদ্ধিজীবি সরকারী কলেজের পক্ষে চান মিঞা, মশিউর রহমান, সাকলাইন মোস্তাক অন্তর। ডিবেট শেষে বঙ্গবন্ধু কলেজকে জয়ী ঘোষণা করে মেলার আয়োজকবৃন্দ।
রাজশাহী থেকে
মোজাফফর মাসুম