চারুকলা’র আয়োজনে হৈমন্তী মেলা

0

ভোরের শিশির ও সোনারাঙা ধান। হেমন্তকালের গ্রামবাংলায় দেখা মেলে দিগন্তজোড়া ধানখেত। কচিকাঁচা ধানগাছগুলো সতেজ হয়ে এ সময় পূর্ণতা পায়। পাকা ধানের মাঠ এ সময় সোনালি চাদরের মতো লাগে।

নগর জীবনে তার কিছুটা ফুটিয়ে তুলতে রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ এ মাইডাস সেন্টারে এবারের আয়োজনও অনেকটা তেমনই। চারুকলার এই আয়োজন এক অনন্য মাত্রা যোগ করেছে উদ্যোক্তাদের মনে। হেমন্ত ঋতুর থিমকে মাথায় রেখে তৈরি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন উদ্যোক্তারা।

মাইডাস সেন্টারে শুক্রবার (৪ নবেম্বর) শুরু হয়েছে দুই দিনের হেমন্ত মেলা। ১২ তলার এক পাশের বিশাল হলে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন।

নিজের বাসায় তৈরি করা খাবার নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তা নওরিন বলেন, ‘যখন দেখছি ক্রেতারা আমাদের তৈরি খাবার খেয়ে আনন্দ প্রকাশ করছেন, তখন সেটা খুব তৃপ্তি প্রদান করে। পাশাপাশি নিজের উদ্যোগকে আরও বড় করে তুলতে অনুপ্রাণিত করে।’

উদ্যোক্তা মাশরুফা ইসরাত বলেন, ‘আমি এনেছি তাঁতের, ব্লকের, স্ক্রিন প্রিন্টের থেকে শুরু করে হাতে আঁকা এক্সক্লুসিভ সব শাড়ি। এছাড়াও থাকছে সালোয়ার-কামিজ, অথেনটিক প্রসাধন সামগ্রী। মেলাগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। পরিচিতি বাড়ানোর একটি বড় মাধ্যম মেলা। আর চারুকলা মেলায় এসে প্রতিবারের মতো অনেক ভালো কিছুই নিয়ে যাবো বলে মনে করছি।’

প্রায় ৪০টি স্টলের সব ধরনের উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করেছেন। উদ্যোক্তা মুক্তি সরকার এসেছেন তার নিজস্ব কারিগর দিয়ে তৈরি অসাধারণ সব পণ্য নিয়ে। উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি জানান, ‘খুব ভালো সাড়া পাচ্ছি এবারের মেলায়। আশা করছি, ভবিষ্যতেও অংশগ্রহণ করবো।’

দর্শনার্থীদের একজন আমিনা জাহান বলেন, মেলায় বিশেষ কিছু পণ্য দেখা মতো রয়েছে। যেমন মসলিনের ওপর হাতে আঁকা শাড়ি, টু পিস, শাল, ক্যানভাস, কুশন কভার, ল্যাম্পশেড, হ্যান্ড পেইন্টেড কাঁচের বোতল, হুপ আর্ট এম্ব্রয়ডারি ও হাতে তৈরি নানান গয়না। আমার দেখা বেশির ভাগ সেরা পণ্য রয়েছে এখানে। আমি মেলা ঘুরতে খুব ভালবাসি। কারণ যে পণ্যগুলো ঘরে বসে না দেখে ও না বুঝে কিনতে চাই না, সগুলো মেলায় এসে কিনতে পারি।’

মেলা ঘুরে দেখা গেছে রঙিন পোশাক, শাড়ি, ডিজাইনার’স ব্লাউজ, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, কাপল সেট, ফ্যামিলি সেট, ব্যাগ, ওয়ালেট, লেডিস পার্স, বেল্ট, কুশন, বিছানার চাদর, কাঁথা, জুতা, গহনা, পাটের গহনা, চাবির রিংসহ অন্যান্য পাটপণ্য। খাবারের স্টল, আচার, সরিষা তেল ইত্যাদি বিভিন্ন পণ্যের পসরায়ও সেজে উঠেছে মাইডাস সেন্টার। আরো আছে কাঠের গহনা, মেটালের গহনাসহ রুচিসম্পন্ন সব পণ্য।

এবারের মেলা চলবে শনিবার (৫ নবেম্বর) পর্যন্ত। মেলা সকলের জন্য উন্মুক্ত।

মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here