২০১৭ সালে বর্ষপণ্য বা প্রোডাক্ট অফ দ্যা ইয়ার হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছিলো চামড়া শিল্পের নাম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা এক তরুণ অন্যসব বন্ধুদের মতো চাকরি বা বিদেশ যাওয়ার চিন্তা করেন নি। ভাবলেন লেদার নিয়ে দেশেই কিছু করবেন।

২০০৮ সাল। বাবা এবং বড় ভাই এর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা ৫ জন কর্মী নিয়ে হাজারিবাগ গ্রুপ জিগাতলায় লেদার গুডস নিয়ে কাজ শুরু মোঃ তাসনিম আলম শাহীনের। যাত্রা শুরু থ্রি টেকের। প্রথম অবস্থায় ব্যবসায় খুব একটা ভালো সাড়া পেলেন না তাসনিম আলম শাহীন। তিনি বলেন, কারিগর সংকটের কারনে তার ব্যবসায় ক্রমশ অবনতি ঘটতে থাকে।

জাতিসংঘ ও বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে লেদার গ্রুপ এর প্রতিষ্ঠান এবং সরকারী উদ্যোগে জনতা ব্যাংক থেকে সি সি লোন নিয়ে ব্যবসার পরিধি বাড়ালেন। নিয়োগ দিলেন আরও ১১ জন কর্মী। ২০১০ সালে শো রুমের মাধ্যমে বাড়ালেন ব্যবসার আরও একটি ধাপ। ৫ জন কর্মী নিয়ে শুরু করে আজ কর্মী সংখ্যা বেড়ে দাড়িয়েছে ২২ জন। অফিস, শো রুম আর ফ্যাক্টরি নিয়ে সফলতার দিকে এগোলেন উদ্যোক্তা তাসনিম।

থ্রি টেকে তৈরিকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়ালেট, বেল্ট, জ্যাকেট, কি রিং, লেডিস ব্যাগ, জেন্টস ব্যাগ, ট্রাভেল ব্যাগ, ব্যাগপ্যাক, ও নানান ডিজাইনের জুতা। প্রোডাক্ট কোয়ালিটির কারণে এপেক্স, বাটা, বে ছাড়াও অন্যান্য বড় ব্র্যান্ডে প্রোডাক্ট সরবরাহ করার সুযোগ মিললো। ইতালি এবং চায়না সহ বিভিন্ন দেশে মেলায় অংশ নিয়ে দেশের পণ্যকে বিদেশের মাটিতে পৌঁছাতে সক্ষম হন উদ্যোক্তা। বিভিন্ন দেশের মেলায় অংশ নেবার পর তাসনিম আলম শাহীন উপলব্ধি করতে পারেন চায়নাতে দেশীয় লেদার এর চাহিদা অনেক বেশি।

ইউবি প্রেসকে উদ্যোক্তা বলেন, গত ১০ বছর যাবৎ বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ করছেন। প্রথমবারের মতো এসএমই এর আওতায় মেলায় অংশগ্রহণ করে ব্যাপক আলোড়ন ছড়িয়েছেন ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের মাঝে।
শারমীন আয়াত ও শুভ হাসান