চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা, জামদানি নিয়ে ফারহানার ফিউশন

0
উদ্যোক্তা ফারহানা মুনমুন

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানির জন্য ডেমরা বেশ পরিচিত একটি স্থান, সেই ডেমরার মেয়ে ফারহানা মুনমুনও তাই বেছে নিয়েছেন জামদানিকে৷ জামদানির শাড়ি ছাড়াও জামদানির বিভিন্ন ফিউশন নিয়ে কাজ করছেন এই উদ্যোক্তা।

ফারহানা মুনমুনের উদ্যোক্তা জীবন শুরু হয় করোনার লকডাউনে। যখন তাঁতীরা কাজের অভাবে বেকার হয়ে পড়ছিলেন,ঠিক সেই সময় তাদের কাজে লাগিয়ে মুনমুন তার উদ্যোগ পুরোদমে শুরু করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই উদ্যোক্তা মহলে ফারহানা মুনমুন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তার কাজের মাধ্যমে।

জামদানির ফিউশনে দেখা মেলে বিভিন্ন ধরনের জুতা, ব্যাগ, কটি, ওয়ান পিস, শাড়িসহ নানান পণ্য৷ এছাড়াও তিনি জামদানির রিসাইকেল পণ্য নিয়েও কাজ করছেন। বর্তমানে তার কর্মী সংখ্যা ৫ জন।

ফারহানা মুনমুন তার উদ্যোগের নাম দেন ‘বেনে বৌ’। মাত্র ৪ টি জামদানি শাড়ি এবং ৫ হাজার টাকা দিয়ে উদ্যোগ শুরু করেন। এখন মাসে প্রায় ৫ লাখ টাকার পণ্য সেল করেন তিনি৷ শুরুটা অনলাইন ভিত্তিক হলেও বর্তমানে উত্তরায় একটি আউটলেট রয়েছে তার।

ইউএসএ, ইউকে,অস্ট্রেলিয়া,তুর্কি’র পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জেলায় মুনমুনের পণ্য গিয়েছে। কাজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নেন এমনকি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।

উদ্যোক্তা ফারহানা মুনমুন বলেন, আমি জামদানিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই। শাড়ির ধারনা থেকে বের করে ভিন্ন ভিন্ন পণ্য তৈরির মাধ্যমে তাঁতীদের কর্মসংস্থান করতে চাই যেন তাঁতীরা হারিয়ে না যায়।

তিনি আরো বলেন, আমি নতুন নতুন অনেক কাজ করছি জামদানি নিয়ে। এই কাজগুলো যখন ছড়িয়ে পড়বে সবাই জানবে। তাঁতীদের কাজের চাহিদা বাড়বে তখন আমি নিজেকে সফল মনে করবো৷

ফারহানা মুনমুন হলিক্রস স্কুল থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ৪ বছর জি,এমজি এয়ারলাইন্স এবং ১২ বছর স্কলাস্টিকা স্কুলে চাকরি করেন। ২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত নেন তিনি জামদানি নিয়ে কাজ করবেন। সেই থেকে শুরু উদ্যোক্তার পথ চলা।

গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে জামদানিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করার কারণে উদ্যোক্তা মহলে জামদানির জগতে বেশ পরিচিত একটি নাম ফারহানা মুনমুন।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here