চাঁদপুরের বিখ্যাত ও ঐতিহ্যবাহী খাবার ক্ষীর নিয়ে যাত্রা শুরু। আজ একজন উদ্যোক্তা রাবেয়া সুলতানা। বাবা রেহান উদ্দিন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। মা ছিলেন গৃহিণী। গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব থানায়। কিন্তু, বড় হয়েছেন ঢাকাতে। স্কুল ছিল দেলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়নগঞ্জ। কলেজ মতিঝিল মডেল কলেজ। অনার্স ও মাষ্টার্স ইডেন মহিলা কলেজ, MBA Accounting ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এখন ACCA করছেন। তিনি পরিবারের বড় সন্তান।
MBA করার আগে একটা CA ফার্মে ৬ মাস চাকরি করেন। তারপরে MBA করে চাকরী ছেড়ে দেন। তারপর বিয়ে হয়ে যায়। তারপর থেকে ACCA করছেন এখন। পাশাপাশি উদোক্তা হবার পথে হাটছেন।উদ্যোক্তা জামদানি নিয়েও কাজ করছেন। ক্ষীরান্ন ফ্যশন হাউজ তার পেজের নাম।

উদ্যোক্তার শ্বশুর বাড়িও মতলব, চাঁদপুরে। বিয়ের পর যখন সেখানে গিয়ে দেখলেন ঢাকায় তো এই বিখ্যাত ক্ষীরটা পাওয়া যায় না আর তাই ঐতিহ্যবাহী ক্ষীর সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া উচিত। এই ভাবনা থেকে ক্ষীর নিয়ে কাজ শুরু করেন। তার পেজের নাম ক্ষীরান্ন। মতলবের বিখ্যাত ক্ষীর দিয়েই ক্ষীরান্নের যাত্রা।

শুধুমাত্র ঢাকায় ডেলিভারি দিচ্ছেন এখন। তাদের প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টা অর্ডার থাকে। মাসে ৩০০ থেকে ৪০০ কেজি ক্ষীর সেল হয়। কিন্তু সমস্যা হলো দুধ আর কর্মীর স্বল্পতা। ক্ষীর তৈরিতে অরিজিনাল দেশি গরুর দুধ দরকার। যা পাওয়া যায় কম। আর এটি বানাতে অনেক সময় চুলায়ে বসায়ে জাল দিতে হয়। যা অনেক কষ্টের বিশেষ করে গরমের দিনে, তাই কর্মী কম পাওয়া যায়।
এলাকার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য ও যারা ঢাকায় থাকে তারাও যাতে এটার স্বাদ নিতে পারে তাই মুলত এই দুই কারনে এই ক্ষীর নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। আর উদ্যোক্তার স্বামীর সর্বাত্নক সহযোগিতার জন্য এগিয়ে যেতে পারছেন।

ভবিষ্যতে সারা দেশে যেনো এই ক্ষীরটা পৌঁছে দিতে পারেন আর সবাই এটা চিনে সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ, তরুনেরা অনেকে ক্ষীরটা খায় না বা চিনেনা তাই তারা কাজ করছেন। তাদের সব কাষ্টমার হলো ৫০ থেকে ৬০ বয়সের। কারণ, তারা ছোটবেলায় খেয়েছেন ।অনেকে ফোন করে ধন্যবাদ দেয় এটা ঢাকাতে পেয়ে।অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে যায় কারন তাদের মরহুম বাবা ,মা,দাদা,দাদীর কথা মনে পড়ে যায়।তখন মনে হয় তার কাজ করা স্বার্থক।
তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তরুণদের বলব, কোন কাজই ছোট না। শুধু লেগে থাক নিষ্ঠার সাথে।সফলতা আসবেই।”
মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা