ঐক্য হেলথ্ টিম খুব দ্রুততার সাথে এবং সফল ভাবে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছে একের পর এক। গত বৃহস্পতিবার ‘ঐক্য হেলথ্’ টিম গিয়েছিল মিরপুরে একটি উদ্যোক্তার ফ্যাক্টরিতে এবং সেখানে প্রতিটি কর্মীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে এসেছে।
বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে ‘ঐক্য ফাউন্ডেশনের’ একটি সহযোগী সংস্থা ‘ঐক্য হেলথ্’ টিম।
সেবা নেয়া উর্মি (৩২) নামের এক মহিলা কর্মী বলেন, “আমার ওজন অনেক আগে মেপেছিলাম। ওজন কম হলেই কি বা বেশী হলেই কি? আমার কাছে সব এক। কিন্তু ডাক্তার আজ আমাকে ওজন সম্পর্কে বুঝিয়ে দিয়েছেন। বেশী ওজন হলে কি কি সমস্যা হবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন।”
পারভিন (২৫) নামের এক কর্মী ফিক করে হেসে বললেন, ” আমি রক্তের গ্রুপ জানিনা আজ জানলাম আর আমার ডায়াবেটিস আছে সেটাও ডাক্তার বলে দিয়েছেন সাথে প্রেসক্রিপশনও লিখে দিয়েছেন।”
কাইয়ুম (২৪) নামের এক তরুণ কর্মী জানান,”ডাক্তার অনেক কিছু পরীক্ষা করেছে এবং বলেছে সব ভালো আছে। আজ আমি রক্তের গ্রুপও জানতে পেরেছি।”
পারভিন (৪০) নামের এক মহিলা বলেন, “আমার ব্রেস্ট ক্যান্সার ছিল আজ আবার ডাক্তার চেক করে ঔষধ লিখে দিয়েছে এবং একা একা কিভাবে সমস্যা বোঝা যাবে তা শিখিয়ে দিয়েছেন।”
সেবা প্রদান শেষে কর্মীদের মাঝে একটা উচ্ছ্বাস পরিলক্ষিত হয়েছে এবং প্রতি মাসেই এমন সেবা পাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। শেষে তারা সবাই ‘ঐক্য হেলথ্’ টিমকে অশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
এই সকল বিষয়গুলো নিয়ে ‘ঐক্য হেলথ্’ টিম উদ্যোক্তা কোহিনূর ইয়াসমিনের সাথে আলোচনা করেন। তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রথমেই আমি বলব ‘ঐক্য হেলথ্’ এর এটা একটা গুড ইনিশিয়েটিভ। বিনামূল্যে এসে কর্মীদের সেবা প্রদান অবশ্যই বিষয়টি খুবই ভালো। ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে আজ সবাই জানতে পেরেছে। এটা খুবই ফলপ্রসূ একটা উদ্যোগ। আসলে এভাবে সেবা দেয়া হয়ে ওঠেনি, বেশ কয়েক বছর আগে আমেরিকার একটি সংস্থা এসে এমন ভাবে সেবা দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিলেন কিন্তু এতো কর্মীর সেবা একসাথে দেয়া সম্ভব হয়নি তাই সেটি আর কন্টিনিউ হয়নি। তবে বড় কোনো সমস্যা হলে তখন আমি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। কিন্তু সবাইকে এত ভাল ভাবে একসাথে চিকিৎসা দেয়াটা হয়না। যেটা ‘ঐক্য হেলথ্’ করলেন। এভাবে নিয়মিত তাদের চিকিৎসা প্রদান করলে তারা মানুষিক দিক থেকেও স্ট্রং থাকবে। আর তারা স্ট্রং থাকা মানে আমরা উদ্যোক্তারা ভালো থাকি। সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলে আমি মনে করছি। কাজেই ‘ঐক্য হেলথ্’ কে আমি ইনভাইটেশন জানাচ্ছি আমাদের এখানে এসে আবারও আমার কর্মীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার জন্য। আর আপনাদের এমন মহৎ উদ্যোগ যেন থেমে না যায়। সব মিলিয়ে আমি অভিভুত।
ঐক্য হেলথ সকল এসএমই উদ্যোক্তা ও কর্মীদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও সুস্থ কর্ম-পরিবেশ তৈরি করতে বাংলাদেশের সকল গ্রাম, উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় শহর সহ রাজধানীর সর্বত্র কাজ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে আজ আমাদের দেশের সিংহভাগ কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। তাই অবশ্যই ‘ঐক্য হেলথ্’ একটি মাইল ফলক।
বিপ্লব আহসান