উদ্যোক্তা - হরিশ ধনদেব

সবাই স্বপ্ন দেখে সরকারি চাকরির কিন্তু সবার ভাগ্যে জুটে না এই সৌভাগ্যর চাবি সরকারি চাকরি সোনার হরিণ। কিন্তু তিনি জমিতে চাষাবাদের জন্য এই সোনার হরিণকে (সরকারি চাকরি) ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রায় ১২০ একর জমিতে অ্যালোভেরা চাষ করে ভারতের কোটিপতিদের তালিকায় নাম লিখিয়ে নেওয়া সেই মানুষটির নাম হরিশ ধনদেব।

বর্তমানে থার মরুভূমিতে অবস্থিত হরিশ ধনদেবের জমির বার্ষিক আয় প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি টাকা। এখন তিনি জাইসলেমার থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে ধাইসরতে নিজস্ব সংস্থা “ন্যাচারাল অ্যাগ্রো” চালু করেছেন।  এছাড়া তিনি  প্রচুর পরিমাণে অ্যালোভেরার রস বিখ্যাত কোম্পানি “পাতঞ্জলি ফুড প্রোডাক্ট লিমিটেডকে” সরবরাহ করেন। যেহেতু থার মরুভূমিতে উচ্চমানের অ্যালোভেরা জন্মায় তাই তিনি সেটা আন্তর্জাতিক বাজারেও সরবরাহ করেন।

ধনদেব জাইসলেমাতে পৌরসভায় প্রকৌশলীর চাকরি করতেন। তবে তিনি এতে সন্তুষ্ট থাকেননি বরং নতুন কিছু  করার চেষ্টা করেছেন। কৃষকদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তুা করে তিনি কৃষিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলে কৃষকদের অবস্থার পরিবর্তন করতে। তাই তিনি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঝুঁকি নিয়েছিলেন।

প্রথম দিকে তিনি চাল, গম, সরিষার মত ঐতিহ্যবাহী পণ্যগুলো নিয়ে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মরুভূমির কারণে তার চিন্তা-ধারার পরিবর্তন করে অ্যালোভেরা চাষ শুরু করেন। তিনি তার ১২০ একর জমিতে অ্যালোভেরার চাষ করে ভাল মুনাফা অর্জনে সক্ষম হন এবং একই সঙ্গে সফলতা অর্জন করেন।

তার কৃষিজমিতে বেড়ে ওঠা অ্যালোভেরাগুলো এত ভালো মানের ছিল যে, তিনি সেটা জাতীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি করছেন। বর্তমানে তিনি ব্রাজিল, হংকং এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ অ্যালোভেরা রপ্তানি করেন।

 

মো:হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here