প্রত্যন্ত এলাকায় কৃষি কাজ দিয়ে জীবনের যাত্রা শুরু মোঃ রবিউল ইসলামের। অনেক আশা নিয়ে ১৯৮৪ সালে রাজশাহীতে আসেন কিছু করার উদ্দেশ্যে। পড়াশোনা না জানা ছেলেটি ছোট বেলায় মায়ের অনুপস্থিতিতে বাসায় দৈনন্দিন কাজগুলো করতেন। সেখান থেকেই মূলত তার হাতের কাজের প্রতি আগ্রহ। ছোটবেলায় রুটি পরোটাসহ বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে পারতেন। ১৯৮৫ সালে কাজ শুরু করেন রাজশাহীর একটি বেকারীতে। এইভাবে রবিউল ইসলামের পথচলা শুরু হয়।
উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি জানান, “পরিবারের ভবিষ্যৎ ও সন্তানদের কথা চিন্তা করে ২১ বছর অন্যের অধীনে কাজ করার পর আমি ভাবলাম নিজে কিছু করব। আমি ২০০৭ সালে রাজশাহীর বহরমপুর এলাকায় ৫০ হাজার টাকা এবং ৬ জন কর্মী নিয়ে একটি বেকারীর কারখানা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু করি”।
প্রায় দুই বছর কারখানাটি চালানোর পর রবিউল রাজশাহীর বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় আরেকটি বেকারী কারখানা ভাড়া নেন এবং সেখানে প্রায় ৪ বছর বেকারীটি পরিচালনা করেন। ২০১৩ সালে এসে বিসিক এলাকায় নিজস্ব জায়গা কিনে সেখানে বেকারীর কারখানা তৈরি করেন উদ্যোক্তা মোঃ রবিউল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানটির নাম দেন ‘বেঙ্গল বেকারী’।
সেখানে তিনি মানসম্মত এবং গুণগত মানের বিস্কুট, পাউরুটি ,চানাচুর, কেক তৈরি করতে থাকেন। ক্রেতাদের আস্থা এবং চাহিদার উপর ভিত্তি করে তিনি প্রতিনিয়ত খাবারের মান নিজে পরীক্ষা করে পণ্যগুলো বিক্রয় করতে থাকলেন। তার ব্যবসাটি ধীরে ধীরে প্রসারিত হতে থাকলো। রাজশাহী সিটির মধ্যে সকল কনফেকশনারীতে তার পণ্য সরবরাহ হতে শুরু করলো। ২০১৬ সালে রাজশাহীর সাহেব বাজারে বেঙ্গল বেকারী নামে একটি দোকান দেন এবং ২০১৮ সালে রাজশাহীর গণকপাড়া এলাকায় বেঙ্গল বেকারী এন্ড পেস্ট্রি শপ নামে আরো একটি দোকান দেন তিনি।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে মানসম্মত বিভিন্ন ভ্যারাইটির পেস্ট্রি কেক এবং অনান্য কোম্পানির পণ্যসমূহ বিক্রি করা হয় বেঙ্গল বেকারী এন্ড পেস্ট্রি শপে। বর্তমানে ৫০ জন কর্মী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা মোঃ রবিউল ইসলাম।
রাজশাহী থেকে রাইদুল ইসলাম শুভ
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা