রচনা বাগদী

কিশোর বয়সের একজন তরুণ জীবন বলতে বুঝে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, ঘুরতে যাওয়া ও ফেসবুকে বসে সময় কাটানো। কিন্তু কেউ থাকে কিছুটা ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ। সেই ব্যক্তিটির নাম রচনা বাগদী যিনি তার স্বপ্নকে রূপ দিয়েছেন বাস্তবে। 

রচনা জন্মগ্রহণ করেছেন নাগপুরে। এই বয়সেই তিনি ভার্চুয়ালের সাথে বাস্তবতার মিল করে বডি সেন্সর ব্যবহার করে একটি নতুন প্রযুক্তির সূচনা করেছেন। জি ফর জেস্টার সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা ভার্চুয়াল ট্যুর অব ফাইভ স্টার হোটেল ।

বর্তমানে ইন্ডিয়ান ইনফরমেশন টেকনোলজি অব গ্লোরিয়ার ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করছেন। তিনি রোবোটিক আর্ম প্রজেক্টের মাধ্যমে হাতের ইশারার রোবটকে নির্দেশনা দিয়ে কাজ করাতেন যখন পুনেতে ইন্টার্নশিপ করছিলেন। সেখানে এক মাস কাজ করার পরে তিনি ভার্চুয়ালের সাথে শরীরের নির্দেশনা দেওয়া কাজটি করতে গবেষণা করছিলেন।

ভারতীয় বাজারের জন্য এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় বাধা ছিল হার্ডওয়্যার ব্যবহার। তবে রচনা এই সমস্যাটিকে কাটিয়ে উঠেছিলেন কারণ এতে কেবল কিছু ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সামগ্রী এবং একটি বডি সেন্সর আছে।

এই  সেন্সরটি একজন ব্যবহারকারীর সঠিক গতিবিধি এবং অঙ্গভঙ্গি গুলি ট্র্যাক করার জন্য ০.৮ মিটার থেকে ৫ মিটারের মধ্যে যে কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং ব্যবহারকারী ঘর থেকেই সম্পূর্ণ হোটেলটিতে ভার্চুয়ালি ভ্রমণ করতে পারেন। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারী বেশ কয়েকটি রুম এবং নির্দিষ্ট জায়গাগুলিতে যেতে পারে। যা তাদের হোটেল বিবেচনা করার জন্য সহায়তা করবে।

তবে এই বিশাল কীর্তি অর্জন করা রচনার পক্ষে এতটা সহজ ছিল না। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তার বন্ধুদের পার্টি করা, ঘুরতে যাওয়া এই বিষয়গুলো তাকে ত্যাগ করতে হয়েছিল। এমনকি হোস্টেলে তার বন্ধুরা যখন ছুটিতে বাড়ি যেত সে সময় তিনি তার বাবা-মাকেও দেখতে যেতেন না।

নতুন উদ্যোগ তাই তিনি বড় উদ্যেক্তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতেন। রচনার জি ফর জেস্টার সংস্থাটি এখন মেলবোর্ন-এ কোম্পানি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে তিনি গাড়ি ও বিনোদন খাত নিয়ে কাজ করতে চান ।

মো.হৃদয় সম্রাট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here