আপনার অনলাইন উদ্যোগের সেল বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু টিপস নিয়ে আজকের প্রতিবেদনটি;
১. আপনি যে প্রোডাক্ট /সার্ভিসটি যাদের জন্য বানিয়েছেন – তাদেরকে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানাতে হবে অর্থাৎ প্রতিনিয়ত আপনার টার্গেট কাস্টমারকে জানাতে হবে আপনি মার্কেটে এভাইলেবল আছেন আপনার প্রোডাক্টটি নিয়ে
২. একটি স্ট্রং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন গ্রুপগুলোতে জয়েন করতে হবে অথবা নিজেই কোনো একটা গ্রুপ ক্রিয়েট করতে পারেন, পেজ মেইনটেইন করতে পারেন যাতে অনেক মানুষের কাছে আপনি নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করতে পারেন সেজন্য একটা স্ট্রং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে৷
৩. প্রোডাক্টের উপর ডিপেন্ড করে আপনি ভিজিট করেও প্রোডাক্টের মার্কেটিং করতে পারেন অথবা সোস্যাল মিডিয়া/টেলিভিশন এর মাধ্যমে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে পারেন। মোট কথা আপনাকে কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে হবে, কাস্টমার আপনাকে খুঁজে বের করবে না।
৪. লিফলেট, ফেস্টুন, ব্যানার, পেপার ইনসার্ট এর মাধ্যমেও প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা সম্ভব।
৫. সোস্যাল মিডিয়ায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক পেজসহ সকল মাধ্যমে আপনার একাউন্ট থাকতে হবে যেমন লিংকড-ইন, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবসহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্ম। কোম্পানির একটা নিজস্ব মেইল আইডি থাকতে হবে৷ ই-মেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে মার্কেটিং করতে হবে৷
ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টটি কিভাবে তৈরি করছেন, কিভাবে সার্ভিস দিচ্ছেন, কাস্টমার হ্যাপেনিং, ফিডব্যাকসহ নানান কিছু পোস্টের মাধ্যমেও মার্কেটিং করতে পারেন।
৬. লং টাইম প্ল্যানের ক্ষেত্রে ফেসবুক পেজের পাশাপাশি একটি ওয়েবসাইট চালু করতে হবে। এতে কাস্টমারদের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়।
৭. যে পণ্য/সার্ভিসটি নিয়ে আপনি কাজ করছেন তার প্রথম দিন থেকে যতটাকার পণ্যই বিক্রয় করেন না কেনো তার একটি ডাটাবেজ মেইনটেইন করতে হবে।সবথেকে ভালো হয় যদি এটা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে করা হয়। ম্যানুয়ালি কিংবা ডিজিটালি যেভাবেই হোক কাস্টমার ডাটাবেজটি তৈরি করতে হবে৷
পরবর্তীতে আপনার কোনো নতুন প্রোডাক্ট বাজারে আসলে টেক্সট, ওয়াটসএ্যাপ কিংবা ই-মেইলের মাধ্যমে সেসকল কাস্টমারকে সহজেই রিচ করতে পারবেন এবং আপনার নতুন পণ্য সম্পর্কে জানাতে পারবেন।
৮. চমৎকার একটি কাস্টমার কেয়ার সার্ভিস টিম তৈরি। কেননা কাস্টমার কেয়ার সার্ভিসের উপর নির্ভর করছে রিপিট কাস্টমার। আর একজন রিপিট কাস্টমারের মাধ্যমেই নতুন কাস্টমার তৈরি হয়৷
৯. আপনার পণ্যের এক্সচেঞ্জ পলিসি থাকতে হবে এবং কাস্টমার সার্ভিসের মাধ্যমে আফটার সেলস সার্ভিসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মেইনটেইন করতে হবে
১০. কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্ট। প্রোডাক্টের কোয়ালিটি যত ভালো হবে প্রোডাক্টের মার্কেটিং তুলনামূলক কিছুটা সহজ হয়৷ কেননা এতে রেফারেন্স কাস্টমার তৈরি হওয়ার সুযোগ থাকে।
১১. যদি আপনার কোনো শোরুম থাকে কিংবা আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে বিজনেস পরিচালনা করেন তাহলে তা অবশ্যই দৃষ্টিনন্দন কিংবা সৃজনশীল হতে হবে যাতে কাস্টমারদের সহজেই এট্রাক্ট করে। প্রোডাক্টের ছবি, ইন্টেরিয়র ডিজাইন, প্রোডাক্ট শোকেসিং কিংবা ওয়েবসাইট ডিজাইন – সবকিছুই হতে হবে রুচিশীল।
১২. আপনি যে প্রোডাক্ট গুলো তৈরি করেন তার ছোট ছোট ভিডিও করে পেজে দিবেন, হ্যাপি কাস্টমারের পিক দিবেন তাদের রিফিউগুলো শেয়ার করবেন এতে নতুন কাস্টমারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হয়।
১৩. আপনি যদি প্রতিষ্ঠানের সিইও হয়ে থাকেন অথবা কর্মী যাই হোন না কেনো সবসময় নিজের মধ্যে একটা সেলসম্যানশীপ এটিটিউড থাকতে হবে।
যেমন – কাস্টমারের সাথে সুন্দর করে কথা বলা, হাসি দেয়া, বাড়তি ২/১টা কথা বলা, প্রোডাক্টটি কেমন ছিলো, কাস্টমারের ফিডব্যাক নেয়া, কাস্টমারের কথা শোনা – কাস্টমার তৈরিতে এগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।