সবাইকে শুভ সন্ধ্যা। আমি এখানে আসতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করছি। আমার একটা স্বপ্ন ছিলো ইয়াংদের মাঝে কখন একটা বক্তব্য দিতে পারবো।
আমরা ১১ ভাই-বোন। আমি সবার ছোট। আমাদের পরিবারে কেউ ব্যাবসায়ী নয়, সবাই সরকারি চাকুরীজীবি। আমার এক ভাই দেশের প্রধান বিচারপতি ছিলেন, এক ভাই সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জেনারেল, আরেক ভাই ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, যিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
যেহেতু সবার ছোট ছিলাম তাই আবদার থাকতো বেশি। বাবা মায়ের চেয়ে বোনদের কাছেই বেশি থেকেছি। জীবনে কোনোদিন সময় নষ্ট করিনি, সময়ের অপব্যবহার করিনি। আমি কয়েকটি ঘটনা বলছি তরুণদের উদ্দেশ্যে, যা তাদের জন্য অনেক সহায়ক হবে।
আমি যখন ব্যবসা শুরু করি তখন আমার বয়স ২৩-২৪ বছর। আজ যে তরুণরা এত সুন্দর একটা জায়গায় এসির মধ্যে বসে কথা শুনছে, আমাদের সময় কিন্তু এই সৌভাগ্যটা হয়নি।
আমাদের বাসা ছিলো রাজারবাগ পুলিশ লাইনে। আমি বিএএফ শাহীন স্কুলে পড়তাম। পায়ে হেঁটে রাজারবাগ থেকে মালিবাগ আসতাম। যেদিন ঘুম থেকে দেরিতে উঠতাম, আমার বাবা-মা বলতেন, তোমাকে দৌঁড়ে গিয়ে বাস ধরতে হবে, কারণ তুমি যদি বাস ধরতে না পারো তবে ক্লাস করতে পারবে না। এতে তোমার শিক্ষকরাই তোমাকে বকবে। হ্যাঁ, হয়তো আমার বাবা-মা সেদিন আমাকে রিক্সায় যাওয়ার পয়সাটা দিতে পারতেন। কিন্তু আমি এখন বুঝতে পারি, সেদিন যে ট্রেনিং টা আমাকে আমার বাবা-মা দিয়েছেন, এজন্যই আজকের এই আতিক সবার সামনে দাড়িয়ে বক্তব্য দিতে পারছি।
আজ যখন বাবা-মা বকা দেন আমাদের, তখন আমরা বন্ধুদের কাছে গিয়ে বলি বাবা-মা বকা দিয়েছে, কেন দোস্ত কি করলাম আমি, বাবা-মা বকা দিচ্ছে কেন? বাবা-মা কি ১০ টি টাকা দিতে পারেনা? আমি মনে করি আজকে যদি আমাদের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়, সেটা আমাদের দ্বারায় সম্ভব। তরুণদের এই সময়টা, বিশেষ করে ২২-২৭ বছর বয়সটা কিন্তু আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2018/11/Atik-Sir-4.jpg)
আমাদের পরিবারে সবাই সরকারি চাকরিজীবি ছিলেন, আমার মা আর বাবা বলতেন তুই ব্যবসা করিস না, ব্যবসা করলে সবাইকে স্যার স্যার বলতে হয়। তখনকার সময় কিন্তু এমনটাই ছিলো।
বর্তমানে ব্যবসায়ীরা আমাদের দেশের ইকনোমিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখছে, আজ ব্যবসায়ীরাই বিশ্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উদ্যোক্তারাই হচ্ছেন আগামী বিশ্বের ভবিষ্যৎ। সুতরাং আগেকার যেসকল কনসেপ্ট ছিলো আজকাল এই কনসেপ্ট কিন্তু অনেক চেইঞ্জ হয়েছে। বড় করে শুরু করলে আমি তাড়াতাড়ি বড় হবো এই চিন্তাটা বাদ দিতে হবে। বড় হবার চিন্তা অবশ্যই থাকবে, তবে ধীরে ধীরে যদি সততার সাথে সময় নিয়ে কোন কাজ করা যায়, ওইটা কিন্তু স্টেবল হবে, ব্যবসাতে সাসটেইনেবল বলে একটা কথা আছে।
আমার ব্যবসা আমি শুরু করেছিলাম ৪৮ টি মেশিন নিয়ে। শান্তিনগরে নিজ বাসায়। সেই ৪৮টি মেশিন এবং ১১০ জন অপারেটর দিয়ে কাজ শুরু করে ইসলাম গ্রুপের আজ প্রায় ১৯ হাজার শ্রমিক ভাইবোন। এটি সম্ভব হয়েছে একাগ্রতা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে।
প্রথম শিপমেন্টের দিন আমি কান্না করেছিলাম কারন আমাদের গার্মেন্টস চলে যাচ্ছে বাইরের দেশে। লক্ষ্য যদি ঠিক থাকে যে আমি করবোই করবো তাহলে কোন ধরণের অপমান কোন ধরণের রাগের বর্ষবর্তী না হয়ে অনেক কষ্ট করতে হবে। কষ্টের কোন বিকল্প নেই যেরকম ইনোভেশনেরও কোন বিকল্প নেই।
কিছুক্ষণ আগে বললাম ই-কমার্সের কথা। আমরা ব্যবসা করি কিভাবে বর্তমানে? গার্মেন্টস এর ব্যবসা হয়, আমাদের বায়াররা আমাদের প্রোডাক্টগুলো দিচ্ছে, প্রোডাক্টগুলো দিয়ে কি বলছে, যে মিঃ আতিক তুমি এইটার কস্টিং করো। আমি কস্টিং করলাম। আমার আরেক বন্ধুকে বলবে তুমিও কস্টিং করো, আরেকজনকে বলবে তুমিও কস্টিং করো। ১০ জন থেকে বায়াররা কস্টিং করে, সেই একই প্রোডাক্ট নিয়ে ওরা কিন্তু আবার এসে আমাকে বলে আতিক তুমি এটা দিয়েছো এতো টাকা তোমার বন্ধু কিন্তু দিয়েছে এতো টাকা। আমি আবার কি করি ১০ সেন্ট কমিয়ে দেই।
আমি বগুড়া গিয়ে দেখি ক্যালভিন ক্লেইন এর ই-কমার্স এর ব্যবসা করছে বগুড়াতে বসে তারা ডিজাইন করছে এবং ডিজাইনাররা সেই ডিজাইন ই-কমার্সের মাধ্যমে অ্যামেরিকাতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। যেহেতু অ্যামেরিকাতে একটা ডিজাইন করতে অনেক বেশি খরচ দিতে হয়, তাই সেই ডিজাইনগুলো হয় বগুড়াতে।
বাংলাদেশে যে কোথায় কি হচ্ছে আমরা নিজেরাই জানি না। দ্যাটস কল দ্যা ইনোভেশন। বগুড়ায় যখন একটা মেয়েকে জিজ্ঞেস করলাম যে তুমি কি পাশ, তোমার লেখাপড়া কি? তখন সে বললো, স্যার আমার খুব শখ ছিলো আর্টের ওপরে তারপর আমি অ্যাপারেল করতে করতে কয়েকটা ডিজাইন পাঠিয়ে দিলাম বিভিন্ন জায়গায়। আমার তিনটা ডিজাইন ক্লিক করেছে ক্যালভিন ক্লেইন এবং ঐটা হাইয়েস্ট সেল হয়েছে। তো এরাই হলো উদ্যোক্তা। অদম্য ইচ্ছে থাকতে হবে, কষ্ট করতে হবে। তাহলে কিন্তু আমাদের অনেক দূর আগানো যাবে। বৃষ্টিতে ভিজলে আমাদের বাবা-মা বকা দিলো, নাকি ভাইয়ারা বকা দিলো এগুলোকে কিছু মনে করা যাবে না।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2018/11/Atik-Sir-3.jpg)
কালকে বলে কিছু নাই, সবকিছু করতে হবে আজকে, এখন, এখন এবং এখন। না আগামীকাল, না গতকাল। আগামীকাল বলে কনো কথা নেই। ইফ ইউ ওয়ান্ট টু সাকসেস ইন ইয়োর লাইফ, ডু ইট টুডে নাও। মানুষ যখন বিপদে পড়বে তখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় ধর্ম। এটি আমাদের ইসলামেও যেমন আছে, আমরা শিখেছি আমাদের স্কাউটিং এর মাধ্যমে আমরা শিখেছি বাংলাদেশ এর মাধ্যমে।
আমি বড় করে বলি সবাইকে, আমি যদি এগুলো না করতাম আজকে এসে রানা প্লাজার মতো এত বড় দূর্ঘটনার চাপ আমি সামলাতে পারতাম না।
প্রত্যেকদিন একটার পর একটা লাশ বাড়ছে, লাশের কোন শেষ নেই। সারা ওয়ার্ল্ডে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে শুরু হয়ে গিয়েছে ডোন্ট বাই দ্যা গার্মেন্টস ফ্রম বাংলাদেশ। বড় বড় রিটেইলাররা লিখে রাখছে, সারা ওয়ার্ল্ডে নো প্রোডাক্ট মেড বাই বাংলাদেশ। কত বড় একটা শেইম। উই আর নট সেলিং এনি কাইন্ড অব প্রোডাক্টস হুইচ ইজ মেড বাই বাংলাদেশ। হুইচ ইজ মেড ইন বাংলাদেশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে এবং আরও কয়েকজন বললেন, তুমি যাও, গিয়ে প্রত্যেক দরবারে দরবারে সবার কাছে যাও, গিয়ে বলো, প্রমান করে আসো। আমরা শুরু করলাম আমাদের যাত্রা। মাননীয় কমার্স মিনিস্টার তোফায়েল ভাই সহ। বিভিন্ন জায়গায় গেলাম, বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দিলাম, আমি যখন লাস্টে হার্ভাডে গেলাম বক্তব্য দেয়ার জন্য, ইউ নো হার্ভাড হচ্ছে ওয়ার্ল্ডের মধ্যে নাম্বার ওয়ান ইউনিভার্সিটি এবং সারা সোশ্যাল মিডিয়া তারা বসে আছে, কেউ বলছে যে, বিজিএমই এর প্রেসিডেন্ট আসছে, তাকে আমরা থুতু মারবো। কারন এত শ্রমিক যে মরে যাচ্ছে সব দোষ গার্মেন্টস মালিকদের। আমার তখন সত্যি কথা বলতে আমার স্পিচটি ছিলো একটি লিখিত স্পিচ। আমার এখনো গায়ের লোম খাড়া হয়ে যায়, তোফায়েল ভাইকে বললাম, তোফায়েল ভাই এত বড় জায়গার মধ্যে কি করে বক্তব্য দিবো। এদেরকে আমি কিভাবে বুঝাবো? মনে মনে আল্লাহকে ডেকে বললাম, আল্লাহ জীবনে কোনদিনতো কারোর কোন ক্ষতি করিনি, আল্লাহ তুমি আমাকে শক্তি দাও বুঝানোর জন্য, আমার একটি স্পিচ এর মাধ্যমে যদি পুরো বাংলাদেশের বিজনেস টার্ন করতে পারে, তাহলে চেষ্টা করারতো কোন শেষ নাই, চেষ্টা করেই যাই।
তিনটি জিনিস তোমাদেরকে দেব। তিনটি ওয়ার্ড তখন চলে আসছিলো, উই আর কমিটেড টু দ্যা ওয়েল বিইং টু আওয়ার ওয়ার্কার্স। উই আর কমিটেড সেফটি টু আওয়ার ওয়ার্কার্স। এই দুটো কথা বলার পরপরই আমি তাদেরকে বললাম এন্ড উই আর কমিটেড টু গিভ এ ডিগনিটি টু আওয়ার ওয়ার্কার্স। আমি বলেছি আই প্রমিস প্রেসিডেন্ট অব বিজিএমই হেয়ার, আই লাইক টু হেয়ার বাই প্রমিস টু গিভ ওয়েল বিইং, ডিগনিটি এন্ড সেফটি টু আওয়ার ওয়ার্কার্স। এবং তোমাদেরকে ভুলে গেলে চলবে না যে, ১৯২১ সালে ম্যানহাটনে নাইটিঙ্গেল শার্ট ফ্যাক্টরি যখন কলাপ্স করে তার ২৬ বছর পরে লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট হয় অ্যামেরিকাতে। আর আমাদের রানা প্লাজা কলাপ্স করার মাত্র ৯০ দিনের মাথায় আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনি লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট করে দেয়। আজকে কিন্তু হার্ভার্ডে তোমরা এই কথা নিয়ে কেউ কিছুই বলছো না শুধু বলছো যে, বাংলাদেশের শ্রমিকরা কেনো মারা গেলো।
কিন্তু এটা কি আমাদের জন্য বিরাট বড় একটা প্রাপ্য না? ২৬ বছর পর অ্যামেরিকাতে লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট করে ১১১ জন শ্রমিক ভাই মারা যাওয়ার পরে আর বাংলাদেশের লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট করেছে মাত্র ৯০ দিনের মাথায়।
তখন প্রফেসর জ্যাক আর্নোল্ড, সে লাঠিতে ভর করে চলে, তার বয়স ৮৭ বছর। সে তখন দাড়িয়ে বলে, মিঃ ইসলাম- তুমি কি বলতে চাও যে, অ্যামেরিকাতে নাইটিঙ্গেল শার্ট ফ্যাক্টরি এক্সিডেন্ট হয়েছিল তার ২৬ বছর পর অ্যামেরিকাতে লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট করে? আমি বললাম, ইয়েস, মিঃ জ্যাক আর্নোল্ড আই মিন দ্যাট। আফটার ২৬ ইয়ার্স দে ডিড দ্যা লেবার ‘ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট এন্ড উই বাংলাদেশ উই ডিড দ্যা লেবার ‘ল’ উইথিন দ্যা ৯০ ডেইস। নোবডি সেইং দিস কাইন্ড অব থিংস, এভরিবডি সেইং বাংলাদেশ ইজ নাথিং নো ওয়ার এন্ড নো ওয়ার।
![](https://uddoktabarta.com/wp-content/uploads/2018/11/Atik-Sir-1.jpg)
এই যে ওখান থেকে দেখলাম যে, ওদের ইয়ং জেনারেশনরা বুঝতে পারছে ওদের পালসগুলো চেইঞ্জ হচ্ছে। তারপর আমি বললাম, ইউ ক্যান ক্লোজ মাই ফ্যাক্টরি। বাট দ্যাট নো রাইট টু ক্লোজ দ্যা ১৯ থাউস্যান্ড ওয়ার্কার্স দোস আর ওয়ার্কিং ইন মাই ফ্যাক্টরি। দ্যাট ইজ দ্যা চেইঞ্জ। তখন স্টুডেন্টরা দাড়িয়ে বললো, মিঃ ইসলাম, উই আর উইথ ইউ ফ্রম নাও টুডে অন ওয়্যার্স, দেয়ার ইজ অ্যা নো এন্টিক্যাম্পিং ফর বাংলাদেশ, লেটস ডু দ্যা পজিটিভ ওয়েল বিইং, ডিগনিটি এন্ড সেফটি। এই তিনটি চেইঞ্জ হতে শুরু করলো ।
কিভাবে একটি সমস্যা থেকে সুন্দর করে একটি সেক্টরকে উন্নত করা যায়। কিভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করা যায় আমিও শিখেছি আমার জীবনের লিয়াজোঁ থেকে, আমি শিখেছি আমার জীবনের ন্যাশনাল ক্যাডেট কোড থেকে, আমি শিখেছি স্কাউটিং থেকে, আমি শিখেছি আমাদের ব্যবসা থেকে। সুতরাং আমি মনে করি আজকে ইয়ুথদেরকে ভয় পেলে চলবে না, আজ আমি যেদিন বের হয়ে এসেছি বাংলাদেশের গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি থেকে অ্যাজ এ ফর্মার প্রেসিডেন্ট, আমি একটি ট্যাগ উপহার দিয়েছি বিজিএমজএ কে।
২০১৩ সালে ট্যাগের মধ্যে ছিলো মেড ইন বাংলাদেশ, এখন কিন্তু বিজিএমইএ বলে মেড ইন বাংলাদেশ উইথ প্রাইড। দ্যাট ইজ দ্যা অ্যাচিভমেন্ট। সুতরাং, ইয়ংরা যারা আছেন বাবা মায়ের বকাতে ভাই বোনের বকাতে, পাড়াপ্রতিবেশির বকাতে কোন কিছু হবেনা।
নো মাদক। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। ইয়াং জেনারেশনকে কিন্তু মাদক শেষ করে ফেলছে। যতক্ষন পর্যন্ত ফেসবুকে থাকবো, যতক্ষন পর্যন্ত টুইটারে থাকবো, সময়কে আমরা দাম দিবো। একটি সময় একটি জীবনের জন্য অনেক বড় ব্যপার। একটি সময়কে ওয়ান মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি মূল্য আমার জীবনের একটি সময়। যেটা চলে যাবে, আর ফেরত আসবে না। আর যেটি আসবে সেটাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে।
সারাদিন চিন্তা করতে হবে আমরা কি কাজ করতে পারি, খেলাধুলা করতে হবে, মাদক কে না বলতে হবে, ছোটদের কে ভালবাসতে হবে, বড়দের কে সম্মান করতে হবে, আর একটি কথা আমি সবখানে বলি, আমরা কেনো আমাদের নিজেদের দেশের মাটিতে ময়লা ফেলি আর কেনো আমরা বাইরের দেশে গিয়ে ময়লা ফেলিনা। কে বলতে পারবেন?
প্লিজ, আমাদের দেশে ৩০ লাখ মুক্তিযোদ্ধা শুয়ে আছে, আমাদের দেশে ৩০ লাখ ভাই বোন শুয়ে আছে, দুই হাত তুলে বলি আপনাদের, ৩০ লাখ শহীদ ভাই বোন যেখানে শুয়ে আছে এই মাটিতে, সেই মাটিতে আমরা ময়লা ফেলবো না আমরা ময়লা ফেলতে পারিনা। আমাদেরকে যারা লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছে তাদের ওপরে আমরা কি করে ময়লা ফেলবো।
খুরশিদা পারভীন সুমী