কাজের স্বীকৃতি পেলে ভালো লাগে, প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা

0

শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা। কাজের স্বীকৃতি পেলে ভালো লাগে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা প্রতিনিয়ত নানা স্বেচ্ছাসেবী ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন মুলক কাজ করে আসছিলেন । করোনা কালীন সময়ে উদ্যোক্তার মনে হয়েছে একা কাজ করে বৃহৎ কিছু করে উঠা অসম্ভব প্রায় তাই করোনার প্রথম দিকে নেয়ামত বাবু , রেশমা, মাসুদ , শান্ত, প্রীতি , দিপু সহ আরো উদ্যোক্তা সংগঠকের সম্মীলিত উদ্যেগে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা যুব সংগঠক ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে ইয়ুথ অন্ট্রাপ্রেনিউর ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ নামে সংগঠনটি গঠন করেন এবং তারপর থেকে ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই সংগঠনের মাধ্যমে সামাজিক কাজগুলো করে থাকেন উদ্যোক্তা।

মোট ১০ টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয় শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড। তার মাঝে সবচেয়ে কার্যকরী উদ্যোগ ক্যাটাগরিতে ৪র্থ স্থান অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা শুরুর প্রথম দিকে এই সংগঠনটি সচেতনতা কার্যক্রম মূলক লিফলেট বিতরণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু করে তারপর হাসিনা মুক্তা তার কারখানায় মাস্ক ও পিপিই তৈরী করে পুরো বাংলাদেশে যেসব যুব সংগঠন স্বেচ্ছাসেবী নানা কাজ করতো তাদের সুরক্ষার জন্যে পুরো দেশব্যাপী ফ্রি পিপিই বিতরণ করেছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন ডাক্তার নার্সদেরও পিপিই উপহার দেন উদ্যোক্তা।

রিক্সা, ভ্যান চালকদের মাঝে ও অসচেতন পথচারীর মাঝে সারা বছরব্যাপী তারা মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সেবা মুলক সামগ্রী বিতরণ করেন। এই কার্যক্রম এখনও চলমান রেখেছেন উদ্যোক্তা ও তার সংগঠনটি।

২০২০ এর ঈদে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনরস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকাতে এক হাজার মধ্যবিত্ত ও কর্মহারা পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী উপহার দেয়ার মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু হয় এবং সারা বাংলাদেশে এখনও চলমান আছে। শীতে কম্বল বিতরণ, আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নৌকা ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

করোনায় সময় এই সংগঠনের সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সংগঠকরা নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য করোনায় লাশ দাফন কাফন করা, রক্তদান, কর্মহারা লোকদের কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া ইত্যাদি। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও ইওয়াব এর যৌথ উদ্যোগে সারা দেশে ১ লাখ বৃক্ষরোপন করা হয়।

এই কার্যক্রম পরিচালনা করার পেছনের কারণ জানতে চাইলে হাসিনা মুক্তা উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান, ‘প্রথমত নিজের ভালোলাগা এবং সামাজিক দ্বায়বদ্ধতা থেকে এই কাজগুলো করতাম। পাশাপাশি এই কাজ করতে আমি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা পেয়েছি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও যুবও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে এবং মহিলা অধিদপ্তর থেকে।’

উদ্যোক্তার কাছে তাদের সংগঠনের কাজের অনুপ্রেরণার ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, ‘‘আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধে তরুণরা যেভাবে এগিয়ে এসেছিলো ঠিক তেমনি ভাবে এই করোনার সময়েও তরুনরাই এগিয়ে এসেছি। আমাদের এই সংগঠনটি কিন্তু আমরা সংগঠক এবং উদ্যোক্তাদের সমন্ধয়ে গঠন করেছি কারন আমি বিশ্বাস করি সম্মিলিত ভাবে অনেক কিছু করা সম্ভব তাই একটা প্ল্যাটফর্মে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি।প্রতিটা বেকার যুব ও যুব নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে এবং দিক নির্দেশনা দিয়ে কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কথা অনুযায়ী সেই

যাতে তার বস হতে পারে সেই লক্ষ্যে কাজের পরিবেশ তৈরী করাই আমাদের উদ্দেশ্য।”

সম্মাননা পেয়ে অনুভূতি জানিয়ে উদ্যোক্তা বলেন, ‘যে কোন কাজের স্বীকৃতি পেলে অবশ্যই ভালো লাগে তবে এই সম্মাননা পেয়ে অনেক বেশিই ভালো লাগছে কারণ এটা একটা ভিন্নধর্মী সম্মাননা। দেশের জন্যে,মানুষের জন্যে আমার দায়িত্ববোধ থেকে কাজগুলো আমি করতাম কিন্তু তার স্বীকৃতি যে সরকার এভাবে দিবেন কল্পনাতেও কখনো ভাবিনি।’

তিনি দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে নিয়ে সবার জন্য কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন যা তাকে সকলের মাঝে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।

সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here