সিএমএসএমই উদ্যোক্তা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনাকালীন সচেতনতা এবং ঈদ সৌহার্দ্য কার্যক্রম এর প্রথম পর্বে আজ ১৭ জুলাই শনিবার অনুষ্ঠিত হলো রাজধানীর মুগদা, মধ্যবাড্ডা, পশ্চিম মেরুল বাড্ডা ও উত্তরায়। ঐক্য ফাউন্ডেশনের একটি অনন্য উদ্যোগ ঐক্য হেলথের সাথে সহযোগী হিসেবে ছিল ওয়ানটাইম।
করোনা সুরক্ষায় উদ্যোক্তাদের কারখানায় পৌছে কর্মীদের মাঝে বিতরণ করা হয় মাস্কের সাথে থার্মাল স্ক্যানার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান পৌছে দেয় ঐক্য হেলথ টিম। ঐক্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিএমএসএমই ইভেন্টস এন্ড এক্সটেনশন উইং এর পরিচালক রাহাত হায়াত, ঐক্য হেলথের পরিচালক ফারহানা হাসনা তুলি এবং ওয়ানটাইমের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন এফএম প্লাস্টিকের সত্বাধিকারী জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা গাজী তৌহিদুর রহমান।
দিনব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঐক্য হেলথ টিম ও ওয়ানটাইম যৌথভাবে ভিজিট করে উদ্যোক্তাদের কারখানাগুলো। সেখানে কর্মীদের মাঝে স্বাস্থ্যসুরক্ষার বার্তা দিতে সীমিত পরিসরে ৪টি কারখানায় পৃথকভাবে কর্মশালার আয়োজনও ছিল। সেখানে কর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলার সুযোগ ও প্রশ্নউত্তর পর্ব ছিল। প্রথম দিনের আয়োজনে ঈদ সৌহার্দ্য কার্যক্রম পৌছে যায় মামুন মিয়ার “রাফি এন্টারপ্রাইজ”, সাহিদা পারভীনের “ট্রিমটেক্স”, মাহমুদা সুলতানা ইমনের “ইমন”, ইশরাত জাহান চৌধুরীর “তুলিকা”র কারখানায়।
করোনাকালীন উৎপাদন কাজে মামুন মিয়ার ৪০০০ স্কয়ার ফিটের অফিসে কাজ করছেন ১০জন। যেখানে তার মোট কর্মীর সংখ্যা ৬০জন সেখানে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে বাকীরা কেউ হোম অফিস, কেউবা শিফট ভাগ করে কাজ করছেন। একইভাবে শিফট ভাগ করে বা হোম অফিসে কাজ করছে মাহমুদা সুলতানার ১৮জন কর্মী, ইশরাত জাহান তুলিকার কারখানাতে ১৫জন কর্মী। সাহিদা পারভীনের ২৫০০ স্কয়ারফিটের ট্রিমটেক্সেও ৩৫জন কর্মী কাজ করছেন নিরাপদ দূরত্ব মেনেই।
ঐক্য হেলথ ও ওয়ানটাইমের এই উদ্যোগের দ্বিতীয় পর্বে আরো বেশ কিছু কারখানায় পৌছে যাবে ঐক্য ফাউন্ডেশন এর “উদ্যোক্তা ও কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, করোনাকালীন সচেতনতা এবং ঈদ সৌহার্দ্য কার্যক্রম”।
সাদিয়া সূচনা
উদ্যোক্তা বার্তা