রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চলমান ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে হাতে তৈরি নানা পণ্য। সম্পূর্ণ ব্যাতিক্রমী ক্রাফটেড পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন সাদিয়া শারমিন।
চারুকলার ক্রাফট ডিপার্টমেন্টের ট্যাপিস্ট্রি বিভাগ থেকে পড়াশোনা করে এখন তিনি রিসার্চার হিসেবে কাজ করছেন এবং সেই রিসার্চকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্রাফটেড প্রোডাক্ট তৈরি করছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের রিসার্চে রয়েছে পালকের গহনা এবং সি শেল।
এসএমই পণ্যমেলায় ৩৪৪ নম্বর স্টলে সাদিয়া শারমিন তার মনসিজ ক্রাফটের পসরা সাজিয়েছেন। সম্পূর্ণ ন্যাচারাল প্রোডাক্ট নিয়ে তিনি কাজ করেন। তার ব্যবহৃত ন্যাচারাল প্রোডাক্টগুলোর মধ্যে রয়েছে সি শেল, শামুক, ঝিনুক, কাঠের পুতি, সুতা, পাটের সুতা, শীতলপাটির বুনন, পোস্টেজ স্টেম্প বা ডাকটিকিট।
গহনা সেক্টরে সম্পূর্ণ অর্গানিক পণ্যকে বিভিন্ন ডিজাইনে উপস্থাপন করছেন সাদিয়া। এরই মধ্যে পালকের তৈরি গহনা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। রঙ-বেরঙের পালক দিয়ে তৈরি এসব গহনা সম্পর্কে জানতে ক্রেতাদের আগ্রহ লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও সি শেল এর তৈরি নেকলেস, পায়েল, কানের দুল, হেয়ার ব্যান্ড, রিং স্টুডেন্টরা বেশ পছন্দ করছেন।
মূলত দেশের বাইরে তার প্রোডাক্টের চাহিদা বেশি। জাপান ও লন্ডন ছাড়াও ইন্ডিয়ার আটটি স্টেটে গিয়েছে তার প্রোডাক্ট।
মনসিজ ক্রাফটের স্টলটি ঘুরে দেখা গেল নানা রকম পেইন্টিং, পালক এবং সি শেল এর গহনা দিয়ে স্টলটি সাজানো হয়েছে। পেইন্টিং কাজটিও তাদের নিজস্ব। ইতোমধ্যে অফিসিয়াল, ব্যাংকিং সেক্টর এবং চারুকলা ডিপার্টমেন্ট থেকে বেশ কিছু কাজের অফার পেয়েছেন তিনি।
প্রথমবার মেলায় অংশ নিয়েছেন সাদিয়া শারমিন। প্রথমবারের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা মূলত বিভিন্ন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে থাকি। এসএমই মেলাতে এবারই প্রথম। অবিশ্বাস্য সাড়া পাচ্ছি, যা কখনোই আশা করিনি। ইতোমধ্যে বায়ারদের সাথেও কথা হয়েছে। মেলার ৬ষ্ঠ দিনে অনেক বেশি রেসপন্স পেয়েছি এবং বায়ার পেয়েছি। ভেবেছিলাম মেলাতে এতোটা গ্রহণযোগ্যতা পাব না। কিন্তু আমি সত্যি অবাক। সবাই খুব পছন্দ করছে আমার এই প্রোডাক্টগুলো।’
শুধুমাত্র প্রোডাক্ট তৈরির মধ্যে সীমাবদ্ধ নন তিনি গহনা তৈরির উপাদানগুলো স্বাস্থ্যের জন্য কতটা পারফেক্ট এবং উপকারী তা রিসার্চের মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন সাদিয়া। দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর তিনি ক্রাফটিং এর সাথে জড়িত। বিভিন্ন মিথ, সাইকোলজি এবং গবেষণাধর্মী কাজে যুক্ত রয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়াও তিনি ১৯ বছর মনসিজ আর্ট একাডেমিতে শিশুশিল্পী নির্দেশক হিসেবে রয়েছেন।
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা