বতর্মান সময়ে আধুনিক জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ফাস্ট ফুডের চাহিদা। চাহিদা পূরণ করছে রেস্টুরেন্ট বা ফাস্ট ফুডের দোকানগুলো। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তরুণ উদ্যোক্তাদের পছন্দের শীর্ষে আছে এ ব্যবসা।
তেমনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা সাবিদ জাহান, যিনি কাজ করছেন ফাস্ট ফুড নিয়ে। কুমিল্লার ছেলে সাবিদ জাহানের জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। মালয়েশিয়া থেকে এমবিএ করে দেশে ফিরে পুরোদমে বনে গিয়েছেন একজন উদ্যোক্তা। বাইরের দেশ থেকে ডিগ্রি নিয়েও বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তা জীবন ।

কেন উদ্যোক্তা হলেন? জানতে চাইলে সাবিদ বললেন: আসলে পরের অধীনে কাজ না করে , নিজের মতো কিছু করবো, নিজের প্রতিষ্ঠান, নিজের একটা স্বাধীনতা থাকবে– সেই ভাবনা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়া।
বতর্মানে সাবিদ জাহানের মিরপুর-১ এ সনি স্কয়ারে দুটি ফাস্ট ফুডের দোকান রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘uptown rice & grill’ এবং ‘seasons21’. একই জায়গায় দোকান দুটো হলেও খাবারে ভিন্নতা রয়েছে। একটা দোকানে চাইনিজ আইটেম, আর একটায় ইটালিয়ান ও মেক্সিকান ফুড।
শুরু প্রসঙ্গ এই তরুণ উদ্যোক্তা বলেন, ‘শুরু করেছিলাম পারিবারিক সাপোর্টে একটু বড় পরিসরে। বাবা ও বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় সব মিলিয়ে আমার খরচ হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। বতর্মানে দুই দোকান মিলে ১৪ জন সহকর্মী। এখন আমার আনুমানিক প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হয় ৩০ হাজারের উপরে।’
তার ফাস্ট ফুড দোকানে রয়েছে বিভিন্ন রকমের চাইনিজ সেট মেনু, ইটালিয়ান ও মেক্সিকান খাবার, চিকেন আইটেম, নানা রকমের ফলের জুস আর সেই সাথে চা ও কফি।

তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে সাবিদ বলেন: চাকরির আশায় বসে না থেকে উদ্যোক্তা হওয়া উচিত। আর আমি মনে করি তরুণরা যারা উদ্যোগী হতে চান, তারা গবাদি পশুর ব্যবসা করতে পারেন। এটা একটা লাভজনক ব্যবসা।
ভবিষ্যৎতে সাবিদ জাহানের ইচ্ছা ফাস্ট ফুড ব্যবসার পাশাপাপাশি গবাদি পশু এবং ক্যাপসিকামের চাষ করা। ইতিমধ্যে কুমিল্লায় পৈত্রিক জমিতে গবাদি পশুর খামার তৈরি করেছেন যেখানে প্রায় ২০টি গরু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।সেই সাথে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাপসিকাম চাষের প্রক্রিয়াসহ নানা রকমের ফলের গাছ লাগানোর কার্যক্রম শুরু করেছেন বলে জানালেন উদ্যোক্তা সাবিদ জাহান।
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা