জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে শেষ হলো জাতীয় পাট দিবস ২০২০ ও বহুমুখী পাটপণ্য মেলা। শুক্রবার রাজধানীর বেইলী রোডস্থ অফিসার্স ক্লাবে শুরু হওয়া এই মেলার ছিলো আজ শেষ দিন। শেষ সময়ে ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা হয় প্রতিটি স্টলে স্টলে।

বাংলাদেশের সোনার ফসল পাটের তৈরী পণ্য গুলোর চাহিদা বিগত বছরগুলোর চাইতে বেড়েছে অনেক গুণ। গত কয়েক বছর আগে মেলা আয়োজনের পরিমাণ এবং লোকসমাগমের উপস্থিতির জরিপে তা স্পষ্ট। উদ্যোক্তা এবং ক্রেতা দর্শনার্থীদের মতামতও তাই ইঙ্গিত করে। প্রতিনিয়ত এই পাট শিল্পে উদ্যোক্তা সৃষ্টি হচ্ছে যেটাও পরিস্কার জানান দেয় পাট-শিল্পের সম্ভাবনার কথা। উদ্যোক্তাদের সাথে কথা হলে তারা জানান সকলেরই অর্ডার মিলে এই মেলায়।

চলতি অর্থ-বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে দেশে ৬শ’ ১৬ দশমিক ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ আয় হয়েছে।’ যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ২৮২ টি বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছি’ উল্লেখ করে মন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,‘আপনারা পাট মেলায় যাবেন এবং পাট সম্পর্কে জানবেন। সেখানে গেলে কোনো না কোনো পণ্য আপনাদের পছন্দ হবেই। এ বিশ্বাস আমাদের আছে।’

অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিমু মন্সী ও বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।এর আগে বস্ত্র ও পাট খাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১১ টি ক্যাটাগরিতে ১১ জনকে পুরস্কৃত করা এবং সমাপনী দিনে স্টল গুলোর কার্যক্রম তথা পাটপণ্যের প্রচার ও সম্প্রসারণের জন্য অংশগ্রহণকারী স্টল গুলোর মধ্যে হতে শ্রেষ্ঠ ১০টি স্টলকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। যেগুলো হলো-বেঙ্গল ব্রেইডেড এন্ড রাগস লিমিটেড, এ-সিক্স, মাহবুব জুটেক্স, আনা ফ্যাশন, সামপান, রূপালী কুঠির শিল্প, ঐশি ক্রিয়েট, সিনো বাংলা মার্ট, জারমাটজ লিমিটেড, বিজেআরআই।

এছাড়াও সকল স্টলের উদ্যোক্তাদের সনদপত্র বিতরণ করা হয়। এবং এর-ই সাথে মেলার সফল পরিসমাপ্তি ঘটে। এসময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মান্যবর সচিব লোকমান হোসেন মিয়া। জেডিপিসির অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজাদসহ উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here