২০১৫ সালে স্বপ্নের শুরু। এক বিউটি পার্লার দিয়ে যাত্রা শুরু করার ফলে বিভিন্ন শ্রেণি-বয়সের নারীদের চোখের সামনে থেকে দেখার সু্যোগ সৃষ্টি হয়। মহিলাদের নানা রকমের শারীরিক, মানসিক সমস্যা চোখে পড়ে উদ্যোক্তার। তরুণ উদ্যোক্তার স্বপ্নের দুয়ারে নতুন এক আইডিয়া কড়া নাড়ে। যেই ভাবা সেই কাজ। দুই বছর পর শুরু করলেন বন্ধন উইমেনস ইয়োগা সেন্টার। সিদ্ধেশ্বরীর ইয়োগা সেন্টার থেকে পথচলার গল্প শোনাচ্ছিলেন উদ্যোক্তা সামিতা মাওলা সেতু।
২০১৭ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি গুটি গুটি পায়ে যাত্রা শুরু করা বন্ধন ইয়োগা সেন্টারের আজ ৩য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। পথচলায় তারা অসংখ্য নারীর মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সমাধানে সফল বলে জানিয়েছেন সেবা গ্রহনকারী অনেকে। বুয়েট পড়ুয়া এক স্টুডেন্ট নুসরাত রেজা গল্পে গল্পে উদ্যোক্তা সামিতা সেতুর উদ্যোগকে প্রসংশিত করেন। গৃহিণী সালমা মান্নান ও মুন্নী জানান তারাও দৈনন্দিন জীবনের সাংসারিক শত কাজের ফাঁকেও সময় বের করে ইয়োগা করতে আসেন। বন্ধন ইয়োগার বন্ধুত্বপূর্ণ সদ্ভাব তাদের আরোও অনুপ্রাণিত করছেন।
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে উদ্যোক্তা সামিতা সেতু তার উদ্যোগের পেছনের গল্প শোনাচ্ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইয়োগা কোর্স করেছেন তিনি। এছাড়াও প্রাইভেট কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স ও ভারতীয় হাইকমিশনের স্পেশাল ইয়োগা কোর্স তার পথচলা আরও সহজ করে দেয়। চল্লিশেরও বেশি সংখ্যক মহিলা তার প্রতিষ্ঠানের ইয়োগা ক্লাসে অংশ নেন নিয়মিত। ইয়োগা করার মাধ্যমে তারা শারীরিক সমস্যাগুলোর সমাধান পেয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও, মানসিক প্রশান্তি বয়ে আনছে তাদের জীবনে।
বর্ষপূর্তির এই অনুষ্ঠানে উদ্যোক্তা ও তার ইয়োগা শিক্ষার্থীদের সরব উপস্থিতির মাধ্যমে সিদ্ধেশ্বরীর বন্ধন উইমেনস ইয়োগা সেন্টারে এক মিলনমেলা সৃষ্টি হয়। সপ্তাহের শনিবার থেকে বুধবার সকাল দশটা থেকে শুরু হয়ে প্রতি ঘণ্টায় ও দুপুরের বিরতির পর বিকেল পাঁচটা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে আটটা পর্যন্ত ইয়োগা আগ্রহীরা আসেন বন্ধন উইমেনস ইয়োগা সেন্টারে।
মশিউর শাফী
ফিল্ড রিপোর্টার