উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজকে বেকারত্ব দূর করতে চান খোরশেদ আলম। এমন ব্রত নিয়েই সামনে এগিয়ে চলেছেন তিনি। চাকরি না করে চাকরি দেবার ব্যাপারেই তার ইচ্ছেশক্তি বেশি।
২০১৫ সাল থেকে কাজ করছেন উদ্যোক্তা খোরশেদ আলম। তিনি মনিপুরী, চাকমা ও থামি কাপড়ের তৈরি ঐতিহ্যবাহী ব্যাগ, ওয়ান পিস, থ্রি পিস, শাল, ওড়না, হেমগ বা দুলনা, থামি সহ উপজাতিদের বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করেন।
যখন কাজ শুরু করেন তার যাত্রাপথে অনেক বাধা আসে। তার মুলধন ছিল ২০ হাজার টাকা। সেখান থেকে শুরু হয় তার যাত্রাপথ। তার এই উদ্যোগের ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের মনিপুরী,চাকমাদের হাতে বানানো শাল গুলো আমার চোখে লাগে। তখন আমি দুই জন কর্মী নিয়ে কাজ করি। এখন আমার ত্রিশ জন কর্মী কাজ করে যাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে আমার উদ্যোগ সহায়তা করেছে।”

উদ্যোক্তা যখন পণ্য বিক্রয় করতে যান তখন সবাই বাকী চাই যার ফলে তার মনটা ভেঙে পড়ে। তবু পিছনে ফিরে তাকান নি উদ্যোক্তা। তিনি তার কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছেন এই অবস্থায়।
২০১৬ সালে এসএমই মেলা বান্দরবান থেকে তিন লাখ টাকার একটা অর্ডার পান। সেই অর্ডারের পণ্য ডেলিভারির পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি। সেই এক অর্ডারের শুরু থেকে আজকে উদ্যোক্তার পণ্য বাংলাদেশের ৩৩টি জেলায় যায়। তিনি উদ্যোগ প্রসারের জন্য ৫৫টি জেলায় লোকের সাথে যোগাযোগ করেন যাতে করে উদ্যোগ আরও বড় হয়।

তার উদ্যোগের শুরুর ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমি যখন ইন্টার পাস করি তখন আমার বাবা সাথে একটা বিষয় নিয়ে মনমালিন্য হয়। আমি রাগ করে বাসা থেকে চলে যায়। আমি গেলাম বান্দরবান শহরে ওখানে দেখি মনিপুরী পণ্যের খুব বেশি চাহিদা তাই এই পণ্য নিয়ে কাজ করা শুরু করি।”
বান্দরবান এসএমই মেলায় প্রথম পুরস্কার পান উদ্যোক্তা, যশোর এসএমই মেলায় প্রথম পুরষ্কার পান, চট্টগ্রাম এসএমই মেলায় দ্বিতীয় পুরষ্কার পান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব ই-কমার্স থেকে দ্বিতীয় পুরষ্কার সহ বিভিন্ন মেলা থেকে সম্মান সূচক বিভিন্ন পুরষ্কার পান।
“আমি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজকে বেকারত্ব দূর করতে চাই। চাকরি করবো না, চাকরি দিব।” তার স্বপ্নের ব্যাপারে জানান উদ্যোক্তা।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা