উদ্যোক্তা সুমনের গারো রেস্টুরেন্ট জাবা’য় বাজিমাত

0
উদ্যোক্তা সুমন নংমিন

উদ্যোক্তা সুমন নংমিন।প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এর সূচনা গ্রামের স্কুলে। নটর ডেম কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে উত্তীর্ণ। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। ছোটবেলায় ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। আগে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেছেন। ব্যাবসা তে পুরোপুরি মনোনিবেশ করার জন্য জব ছেড়েছেন।

নিজের ঐতিহ্য কে সবার সামনে তুলে ধরার তাগিদটা অনেক ছোটবেলা থেকেই ছিলো।তাই তার মনে হলে ঐতিহ্যের বড় একটা অংশ হলো তাদের গারো খাবার।

তাই গারো ফুড কে প্রমোট করার জন্য জাবা শুরু করেছেন। কারণ ঢাকায় এর আগে গারো ফুড নিয়ে কোন রেস্টুরেন্ট হয় নি।।উদ্যোগ শুরু করেন ১ জানুয়ারি ২০১৯ এ। উদ্যোগের পেছনের
গল্পটার কথা জানতে চাইলে উদ্যোক্তা জানান “ঐতিহ্যে ভরা গারো ফুড কে সবার সাথে পরিচিতি করানোটাই মূলত আমার ইচ্ছা। আমদের গারো সংস্কৃতি কতো সুন্দর সেটাই আমি তুলে ধরতে চেয়েছি।”
তার কয়েকটি উদ্যোগ আছে সেগুলো হলো জাবা রেস্তোরাঁ, জাবা ক্র্যাফট, জাবা এন্টারটেইনমেন্ট,রাঁচি [অনলাইন হেলদি শপ]। উদ্যোক্তা মনে করেন ট্রেডিশনাল ফুড নিয়ে কাজ করা সাধারণ ফুডের চেয়ে ঢের কষ্টকর। উদ্যোক্তা সুমন শুরু থেকে ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করেছেন। এখন বেশ সুফল পাচ্ছেন।
৩ জন কর্মী আছে এখন তার।

দেশের বাইরে এখনো তার পণ্য এক্সপোর্ট করেন নি। তবে তার রেস্টুরেন্টে যারাই আসেন তার খুব পছন্দ করছেন তার এই সকল গারো খাবার।উদ্যোক্তা জানান পরিবারের ভুমিকা সবচেয়ে বেশি ছিলো এই উদ্যোগে এবং পরিবার সবসময় বড় একটি শক্তি ও অনুপ্রেরণার জায়গা হিসেবে কাজ করছে।

ভবিষ্যত পরিকল্পনায় উদ্যোক্তা জানান ” জাবা রেস্তোরাঁ, জাবা ক্র্যাফট, জাবা এন্টারটেইনমেন্ট ও রাঁচি কে পরিপূর্ণ প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ইচ্ছা আমার। ঢাকার বেশ কিছু জায়গায় জাবা রেস্তোরাঁর আউটলেট করবো।”

তরুণদের উদ্দেশ্যে উদ্যোক্তা জানান ” তরুনদের উচিত তাদের ঐতিহ্য কে ধরে রাখার জন্য কাজ করা।আমাদের দেশটা খুবই সুন্দর। এই দেশের কানায় কানায় যে সৌন্দর্য্য সেটা আমাদের প্রমোট করা দরকার।আমি যেমন আমার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করছি তেমনি আমাদের নতো ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর যে ঐতিহ্য গুলো আছে সেগুলোকে সবার সামনে নিয়ে আসা দরকার।”

মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here