ক্ষুদ্র ও নারী-উদ্যোক্তাদের প্রণোদনার ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে নিয়মকানুন সহজ করতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার ২৩ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামে নারী-উদ্যোক্তা-ব্যাংকার ম্যাচমেকিং সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, গত অর্থবছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের বিতরণকৃত ১০০ কোটি টাকার ৬৬.৭৫% পুরুষ উদ্যোক্তা এবং ৩৩.২৫% ঋণ নারী-উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়। চলতি অর্থবছরেও ২০০ কোটি টাকার মধ্যেও আরো বেশি নারী-উদ্যোক্তার মাঝে বিতরণ করতে চায় এসএমই ফাউন্ডেশন।
মফিজুর রহমান আরও বলেন, গত অর্থবছরে মোট ঋণপ্রাপ্ত উদ্যোক্তার ৮৩.২৪% উদ্যোক্তাই ছিলেন ঢাকার বাইরের। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরেও প্রণোদনার অর্থ বেশি পরিমাণে দেশের পল্লী ও প্রান্তিক পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের কাছে পৌঁছাতে এরই মধ্যে ১৯টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সই করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এজন্য সারাদেশে নারী-উদ্যোক্তাদের ঋণের জন্য কাগজপত্র তৈরি, নিয়মকানুন সম্পর্কে অবহিত করা, ব্যাংকারদের সাথে ম্যাচমেকিংসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ২০০ কোটি টাকা বিতরণ শেষ করে সরকারের কাছে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আরো অর্থ দাবি করার ব্যপারে আশাবাদী তিনি।
চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট ইন-চার্জ আবিদার মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আরিফ হোসেন খান।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা এবং পল্লী এলাকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের দ্বিতীয় দফার প্রণোদনার আওতায় মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোক্তাদের মাঝে ২০২০-২১ অর্থবছরে ১০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করে এসএমই ফাউন্ডেশন। চলতি অর্থবছরে আরো ২০০ কোটি টাকা এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে বরাদ্দ দেয় অর্থ বিভাগ।
উদ্যোক্তা বার্তা রিপোর্ট