চাকরি করলে ব্যবসা করা যাবে না ধারণাটি ভুল, সেটি আরও একবার প্রমাণ করলেন উদ্যোক্তা শারমিন হৃদি। যিনি চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করছেন। ঈদ বোনাসের টাকা দিয়ে শুরু করেছেন ব্যবসা। ইচ্ছে আছে অসহায় মেয়েদের সাহায্য করবেন নিজের ব্যবসার মাধ্যমে। চাকরি করলেও চাকরি খুব একটা টানে না হৃদিকে তাই ব্যবসার উদ্যোগ নিয়ে শুরু করলেন ব্যবসা।
শারমিন হৃদি পড়াশোনা করেছেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি (আইইউবিএটি) থেকে ব্যবসায় শিক্ষায় পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি তে এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত আছেন হৃদি। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করেছেন হৃদি নিজের এবং কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হবে সেই ভেবে।
ব্যবসা করবেন ভাবছিলেন কিন্তু কিভাবে শুরু করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। পুঁজি নাই তাই ব্যবসা শুরু করতে পারছিলেন না। তবে হুট করেই শুরু করে দিলেন, পুঁজি বলতে কোরবানি ঈদের বোনাস পনেরো হাজার টাকা দিয়ে চলতি বছরের পহেলা আগস্টে সাইয়ারা নাম দিয়ে পেজ খুলে শুরু করেন ব্যবসা। দুইমাসে আরো দশ হাজার যুক্ত করেছেন ব্যবসাতে।
সাইয়ারাতে পাওয়া যায় মেয়েদের ড্রেস। শুধুই সালোয়ার কামিজ নিয়ে কাজ করছেন হৃদি এখন। তবে শাড়ি আর হিজাব নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে বলে জানান। সালোয়ার কামিজের সর্বোচ্চ ১৫০০ টাকা টাকা আর সর্বনিম্ন ৪৫০ টাকা মূল্যের ড্রেস আছে সাইয়ারাতে। ক্রেতার সংখ্যা কম হলেও ব্যবসার বয়স অনুযায়ী বিক্রি ভালো বলে জানান এই উদ্যোক্তা।
হৃদি উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, ব্যবসা করতে যেয়ে কিছু সম্যসার সম্মুখীন হচ্ছেন সেগুলো প্রথমত গুণগত মান নিয়ে। আমি সবসময় গুনগত মান দেখে পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছিয়ে দেন। কিন্তু একই নকশার ড্রেস অনেকে বিক্রি করে যার দাম ও কম হয়। অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি করতে করতে পারছি না।যার ফলে বিক্রয় কমে যাচ্ছে দিন দিন। আরেকটা প্রবলেম হলো স্ট্যান্ডার্ড বাজার বলতে কিছু নেই। দশ থেকে বিশ টাকা লাভে অনেক সিজনাল ব্যাবসায়ী পণ্য বিক্রয় করছেন। যার ফলে যারা ব্যবসা করবেন বলে নেমেছেন তারা তাদের বাজার মূল্য হারাচ্ছেন।
হৃদি বলেন, আমার স্বামী মুশফিকের কাছ থেকে সব সময় সহযোগিতা পেয়েছি। ঢাকার বাইরের কুরিয়ার গুলো মুশফিক করে দেয়। এছাড়া যখন যেখানে যাই পণ্য সংগ্রহ করতে সে আগে থেকে খোঁজ খবর করে আমার কাজে সাহায্য করে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইচ্ছা আছে ব্যবসাটা নিয়ে আগানোর। যেহেতু আমার ঝোকটা এইদিকেই তাই আমি চাই এমন ভাবে ব্যাবসাটা দাঁড় করাতে চাই যাতে আমার সাথে সাথে আরো অসহায় মেয়েদের কাজের সুযোগ করে দিতে পারি।
খাদিজা ইসলাম স্বপ্না