‘উদ্যোক্তা’ যিনি কেবল নিজেরই কর্মসংস্থান করে না  বরং আশেপাশের মানুষদেরও কর্মসংস্থান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। তেমনি কিছু নিবেদিতপ্রাণ ও বিভিন্ন সংগঠনে সমন্বয়ে সারা বাংলাদেশব্যাপী গঠিত সংগঠন ‘ইয়ুথ এন্ট্রাপ্রেনিউর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (ইওয়াব)। করোনার প্রথম দিক থেকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও এই সংগঠন যৌথভাবে নানান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

প্রথমে উদ্যোগ নেন উদ্যোক্তা নেয়ামত উল্লাহ বাবু সাথে হাসিনা মুক্তা ও রেশমা জাহান এবং পরবর্তীতে আরো অনেকেই উদ্বুদ্ধ হয়ে যুক্ত হোন। তাদের মাঝে আয়েশা জেসমিন, নিলুফার ইয়াসমিন, খুরশিদা জাহান, সাজেদুল ইসলাম, মাসুদ সরকার, দুলাল, আইনুন নাহার সহ আরো অনেকেই।

করোনার শুরুর দিক থেকেই তারা বিভিন্ন সচেতনতা মূলক কর্মকান্ড করে আসছে যার মধ্যে বিভিন্ন সতর্কতামূলক লিফলেট বিতরণ, খাদ্য বিতরণ, বৃক্ষরোপণ ও মাস্ক বিতরণসহ আরো অনেক সামাজিক কর্মকাণ্ড। বিশেষভাবে অব্যাহত রেখেছেন তারা মাস্ক বিতরণের কাজটি। প্রতি বুধবার তারা রিক্সাওয়ালা, ভ্যান চালক, দোকানদার, বিভিন্ন শ্রমিক, দিনমজুর, রাস্তার সাধারন জনগন সহ বিভিন্ন মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করছেন।

সংগঠনের প্রধানদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বলেন আপাতদৃষ্টিতে মহামারী করোনা ভাইরাসকে অনেকেই এখন তোয়াক্কা করছেনা। ঠিকভাবে হাত ধোয়া কিংবা মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকছে। যেটা মারাত্মক হুমকিস্বরূপ তাই তাদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি জন্য বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ সেই সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়ে সচেতন করে আসছে।

উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন ‘ইওয়াব’ তাদের লক্ষ্য পুরো মুজিববর্ষ তারা বিনামূল্যে মাক্স বিতরণ করবেন। সংগঠনের আরও একজন সক্রিয় কর্মী বলেন, আমরা নিজেরাই নিজেদের ফ্যাক্টরিতে মাস্ক তৈরি করছি এবং সেই নিরাপদ মাস্কটিই যে শুধুমাত্র বিতরণ করছি তা নয়। যারা মাস্ক পড়ে নেই তাদেরকে আমরা বোঝাচ্ছি মাস্কের সুফলটা। মাস্ক না পড়লে কিভাবে নিজে অসুরক্ষিত থাকার পাশাপাশি অন্যদেরকেও অসুরক্ষিত রাখছেন। আর মাস্ক পড়লে উভয়ই কিভাবে সংকটপূর্ণ অবস্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন।

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here