আজ ২৭ জুন, আন্তর্জাতিক এমএসএমই (MSME) দিবস।
নতুন আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে এমএসএমই খাতকে আরও এগিয়ে নিতে ২০১৭ সালে জাতিসংঘ ২৭ জুন-কে ‘এমএসএমই দিবস’ ঘোষণা করে। ২০২১ সালে পঞ্চমবারের মতো এই দিবস পালিত হচ্ছে। এ-বছর এই দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কি টু অ্যান ইনক্লুসিভ এন্ড সাসটেইনেবল রিকভারি’।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনুন্নত, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখতে এবং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অতিক্ষুদ্র (মাইক্রো), ক্ষুদ্র (স্মল) ও মাঝারি (মিডিয়াম) উদ্যোক্তাদের (এমএসএমই) ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী অর্থবছরে এসএমই খাতের উন্নয়নে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। এ-খাতের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন মেয়াদি কৌশলগত উন্নয়ন রূপকল্প তৈরি করেছে। সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ২০০ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করেছে। এ-ছাড়া জাতীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে এসএমই পণ্য মেলা আয়োজন করা হবে। উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। পাঁচ হাজার উদ্যোক্তাকে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়াও ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়নে ৬০ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান প্রয়োজন। আর এ-জন্য প্রতি বছর বিনিয়োগ প্রয়োজন এক লাখ কোটি ডলার। এই পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৭ জনের কর্মসংস্থানের জোগান দেয় এমএসএমই খাত। যার পরিপ্রেক্ষিতে এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য এমএসএমই খাতকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দেয়া প্রয়োজন।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা