উৎসব কিংবা বিয়ে, মেহেদির রঙে হাত রাঙাতে কার না ভাল লাগে! আর এই ভালো লাগাকে কেন্দ্র করে হতে পারে ব্যবসায়ও। নানান রকম বাহারি ডিজাইনে হাত রাঙিয়ে পাঁচ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা তরুণ উদ্যোক্তা তনুরুহা আমিন।

ছোটবেলা থেকেই মেহেদি শব্দটির সাথে মা, মেয়ে এবং নারী এ শব্দগুলোর একটা সম্পর্ক খুঁজে পেতেন। মা কে দেখতেন মেহেদি দিয়ে নিখুঁত নকশা তৈরি করতে। মায়ের কাছেই হাতেখড়ি হয়েছে তনুরুহার। উদ্যোক্তা বড় হওয়ার সাথে সাথে বুঝতে শুরু করলেন সমাজে মেয়েরা যেন মেহেদি ছাড়া ঠিক পরিপূর্ণ না।

গ্রাহকদের বিভিন্ন ডিজাইনে উদ্যোক্তার মেহেদি সেবা প্রদান

২০১৩ সাল। মেয়েদের বিয়ে ও ঈদে মেহেদি পড়ার আগ্রহ দেখে উদ্যোগ নিলেন মেহেদি ডিজাইন সার্ভিস খুলবেন। ফেসবুক পেইজে নাম রাখলেন “লীলাবালি”।

ব্যবসার শুরুটা ছিল খুবই অল্প পরিসরে, ব্যবসায়ের বিনিয়োগ এবং ব্যবস্থাপনা নিজেই করেছেন উদ্যোক্তা। প্রথম থেকেই একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন যেন লীলাবালি’র মান ও গুণাগুণ ঠিক থাকে।

উদ্যোক্তার তৈরি নিজস্ব পণ্য

তনুরুহা আমিন উদ্যোক্তা বার্তা কে বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সঠিক মান বজায় রাখা ও গ্রাহক সন্তুষ্টি ধরে রাখা খুব কঠিন। কাজ করতে গিয়ে অনুভব করলাম মেহেদির রঙের গুণাগুণ বজায় রাখার জন্য ভাল মানের দ্রব্যের অভাব, কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করেছি গ্রাহকদের কাছে ভালো মেহেদি পৌঁছে দেয়ার।”

তরুণ উদ্যোক্তা আরও বলেন, “প্রথম বছরের পর ব্যবসার পরিসর বড় করবার জন্য কর্মী নিয়োগ করা শুরু করলাম।  পরবর্তী পদক্ষেপ ছিল মেহেদি আর্টিস্ট বাড়ানো, যারা পড়াশোনার পাশাপাশি নিজের হাত খরচ চালাতে বা পরিবারকে সহযোগিতা করতে চায় তাদের অনেককেই লীলাবালিতে কাজের সুযোগ করে দিয়েছি”।

বিভিন্ন ডিজাইনে গ্রাহকদের মেহেদি সেবা দিচ্ছেন উদ্যোক্তা

বর্তমানে লীলাবালিতে কর্মরত আছেন মোট ৬ জন কর্মী। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তনুরুহা আমিন জানান, তার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নারীদের কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পাশাপাশি, দরিদ্র মেয়েদের মেহেদি ডিজাইনের শিক্ষা দিয়ে লীলাবালিতে  নিয়োগ দেয়া এবং লীলাবালির কার্যক্রম  সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেয়া।

জেবুননেসা প্রীতি
এসএমই করেস্পন্ডেন্ট ,উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here