মোবাইল রিপেয়ারিং এ ওয়ার্ল্ডক্লাস প্লাটফর্ম বাংলাদেশে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সম্ভব। এ সম্ভাবনাকে সত্য প্রমান করে উদ্যোক্তা ফয়েজ তার উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন।
দক্ষ জনশক্তি, সার্টিফাইড কিন্তু কর্মক্ষেত্র এবং প্ল্যাটফর্মটি সম্মানের চোখে দেখা হয়না, অবিশ্বাসও আছে। আছে জানা বা না জানা লোকবল এবং সফটওয়্যার ও টেকনোলোজি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানের অভাব।
আপনি আপনার সাত থেকে সত্তর হাজার টাকা দামের মোবাইল ফোনটি দিলেন কোন একটি সাধারণ সপ এ। দেখতে চটপটে মনে হলেও যে আপনাকে বললো ভীষণ ভাব নিয়ে আপনার মোবাইল ঠিক হয়ে যাবে, রেখে যান। আসলে সে কাজে এসেছে ১ বছর। আপনার মোবাইলটিই সম্ভবত সে প্রথম খুলছে। কি সর্বনাস হতে পারে ভেবে দেখুন তো!!
সে হয়তো হার্ডওয়্যার কিংবা সফটওয়্যার এর বড় ওস্তাদের পা ধরে মোবাইলটি রিপেয়ার করলো এবং রিপেয়ার শপ রক্ষা করলো কাস্টমার এর সম্মান এবং চাহিদা। কিন্তু অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো মোবাইল সেটটির। রিপেয়ার হলেও সেটটির টেকসই রিপেয়ার হলোনা।
এমন সমস্যা গুলোর একটি দারুণ স্মার্ট সমাধান হলো- “HelloImei” উদ্যোক্তা ফয়েজের কর্মভূবন।
অর্থনীতিতে পড়াশোনা শেষ করে কোন ভূবনে কাজ করা হয়। সাধারণভাবে সবাই কি হতে চান?
উদ্যোক্তা ফয়েজ কিন্তু অনার্স ২য় বর্ষে পড়াশোনা সময়ই জড়িয়ে গিয়েছেন মোবাইল রিপেয়ার এর জগতে এবং এখন সারা বাংলাদেশের ৮ কোটি স্মার্ট ফোন ইউজার নিয়ে যে বিশাল ডিভাইসের জগৎ সেই জগৎ কে একটি যুগোপযোগী স্মার্ট ফাস্ট সেবা দিতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তরুণ হাস্যজ্জল উদ্যোক্তা সামসুদ্দীন ফয়েজ।
রিপেয়ার কেনো ইম্পর্টেন্ট?
“রিপেয়ার সেভস মানি, রিপেয়ার সেভস ডেটা, রিপেয়ার এনশিওরস সিকিউরিটি অব ডেটা” বললেন ফয়েজ।
দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাওয়া লাইফস্টাইলে স্মার্টফোনের যে নিত্যনতুন বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং মডেল গুলো অনেক অর্থ ব্যয় করে আমদানি করা হয় বা নিয়ে আসা হয়। সেক্ষেত্রে ফোনে কোন প্রকার হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার এ সমস্যা দেখা দিলে সেই প্রস্তুতকারক দেশে ফোনটি ফেরত পাঠিয়ে ঠিক করিয়ে আনা সম্ভব নয়। অনেকের পক্ষে সম্ভব হলেও সেখানে থাকে তথ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি, সময়ক্ষেপণ।
এসব কিছু নিয়ে অর্থনীতিতে অনার্স মাস্টার্স পাশ করা ঝলমলে এক তরুণ দেশের টাকা দেশেই রাখবেন পণ করলেন। ব্যবসা করবেন হবেন উদ্যোক্তা এই প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী হলেন ফয়েজ।
২০০৫ সালে প্রথম রিপেয়ার সপ দেন উদ্যোক্তা ফয়েজ “ডিজিট নাইন ইঞ্জিনিয়ারিং”। সেখানে ৫ জন মোবাইল ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে সফটওয়্যার প্রব্লেম সলিউশনস, কাস্টমার সার্ভিস এবং অনটাইম সার্ভিস ডেলিভারি ম্যানেজমেন্ট পুরোটা নিজে দেখতেন ফয়েজ। নিজে কাজে ডুবে থাকলে অনেক সময় সেবার কোনো না কোনো একটা দিক ছুটে যেতে পারে, এজন্য ফয়েজ পুরোটা সময় কাস্টমার রিলেশন্সে দেয়া শুরু করলেন উদ্যোক্তা। ডিজিট নাইন ভীষণ নাম করলো ফয়েজ এর একক তত্ত্বাবধানে।
২০১৬-১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের এমন কোন মোবাইল ব্র্যান্ড নেই,স্মার্ট ফোন নেই, নেই কোন সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যার প্রব্লেম যা উদ্যোক্তা ফয়েজ তার উদ্যোগ দক্ষ এঞ্জিনিয়র ও কর্মীবাহিনী নিয়ে সমাধান করেননি কিংবা কাস্টমারদের সার্ভিস দেননি।
সঠিক সময়ে, সঠিক মানে, সঠিক মূল্যে কাস্টমারদের প্রিয় ফোনকে বিশ্বমানে রিপেয়ার করে দেওয়া এই গুণগুলি উদ্যোক্তা ফয়েজ এর স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যায় বহুদূর।
২০১৮ সালের শেষ দিকে গুলশান কনকর্ড পুলিশ প্লাজায় স্টেট অব আর্ট টেকনোলোজি এবং সার্ভিস নিয়ে ফয়েজ এর নতুন উদ্যোগ আত্মপ্রকাশ করলো “HelloImei” ফোন তুমি কেমন আছো? একটি স্মার্ট ফোনের পরিচয় তো আইএমই নাম্বারে বললেন ফয়েজ।
উদ্যোক্তা ফয়েজ নতুন চমক দিয়ে একটি নতুন ভূবন সাজিয়েছেন। একজন স্মার্ট ফোন ইউজার হিসেবে আপনার স্মার্ট ফোন যেকোন ব্র্যান্ডেরই হোকনা কেনো, যেকোন দেশ থেকে কেনা হোকনা কেনো সেই ফোনের যেকোন সমস্যা সমাধানের একটিই নাম “HelloImei” ফয়েজের বিশ্বাস।
বিশ্বমানের স্মার্টফোন রিপেয়ারিং মেশিন এবং টেকনোলোজি, দক্ষ এঞ্জিনিয়রস এবং সেবা- বাংলাদেশের স্মার্টফোনের সেবা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে একজন উদ্যোক্তা করছেন কঠোর পরিশ্রম এগিয়ে নিচ্ছেন লাইফ-স্টাইলকে।
ফায়েজের উদ্যোগ “HelloImei” আজ পদার্পণ করছে সুপার ডাইভে। সম্প্রতি দেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর রবি’র সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন উদ্যোক্তা ফয়েজ তার প্রতিষ্ঠান “HelloImei” নিয়ে। গুলশান রবি সেবাতে সকল গ্রাহকদের স্মার্টফোনের সফটওয়্যার কিংবা হার্ডওয়্যারের যেকোন সমস্যা সমাধান করে দেবে, রিপেয়ার করে দেবে “HelloImei” We fix phone- এই প্রত্যয় নিয়ে।
“HelloImei”- এর বিশেষ সেবাসমূহঃ অর্ডার ট্র্যাকিং করা/ রিপেয়ার অর্ডার স্ট্যাটাস চেক করা, ফোন এর সমস্যা সমাধানের জরুরী পরামর্শের জন্য হটলাইন সার্ভিস রয়েছে, হোম ডেলিভারি সুবিধা রয়েছে, কিস্তিতে ফোন রিপেয়ার এ বিল পরিশোধের সুবিধা রয়েছে, অনলাইনে ফোন কান্ট্রি আনলক করার অর্ডার করার সুবিধা রয়েছে এবং রিপেয়ার কাজের ওয়ারেন্টি প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশের সকল স্মার্টফোন গ্রাহককে ৮টি বিভাগে যেকোন রিপেয়ার সার্ভিস বিশ্বমানে দেবার স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা ফয়েজ।
৮ বিভাগে যৌথ উদ্যোগে ব্যবসা সম্প্রসারণ করবার পথে অগ্রসর হচ্ছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা। বাংলাদেশকে হাসিমুখে দেখতে চান সকল স্মার্টফোন ইউজারকে নিয়ে। Hello- বলা উদ্যোক্তা ফয়েজ নিজেও তার উদ্যোগ “HelloImei” নিয়ে লাইফস্টাইল স্মাইলে যেতে চান বহুদূর।
অপু মাহফুজ
নিজের ঢোল নিজে পিঠানো ভাল কিন্তু অন্যকে ছোট করে নয়! অনেক কথাই বলার আছে , পাবলিক প্লেসে বললামনা সম্মানের জন্য । কে কি সেটা সবাই জানে ।