২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের অবদান ১২ দশমিক ছয় ভাগ থেকে বেড়ে ২০১৭ সালে ১৪ দশমিক ১ ভাগ হলেও ক্ষুদ্র শিল্পের অবদান ৫ দশমিক এক ভাগ থেকে কমে হয়েছে ৩ দশমিক ২ ভাগ। অথচ দেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মোট শিল্পের ৮৩ দশমিক ৭ ভাগ।

এসএমই ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘Development of SMES in Bangladesh: Lesson from German Experinces’ শীর্ষক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। এই গবেষণায় সহায়তা করে জার্মান সংস্থা FRIEDRICH EBART STIFTUN, Bangladesh (FES)।

আজ ২০ নভেম্বর ২০১৯, বুধবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থা উইং-এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর এবং এফইএস, বাংলাদেশ-এর আবাসিক প্রতিনিধি টিনা ম্যারি গ্লোম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ বাকী খলীলী’র নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ড. মো. জামাল উদ্দিন, ড. মো. শরিয়ত উল্লাহ এবং ড. মো. তারেক। এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে এই গবেষণা তদারকি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ ওসমান ইমাম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্কুলের ডিন অধ্যাপক ড. এম মাহবুব রহমান।

জার্মানির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে গুরুত্ব দেয়ার সুপারিশ করা হয় গবেষণায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেন, জার্মানি’র কাছ থেকে পাওয়া অর্থ সুশাসন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে এখন থেকে এসএমই খাতের উন্নয়নেও ব্যয় করা হবে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে জার্মানি তিন খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশকে বছরে ৪০ কোটি ডলার সহায়তা করে থাকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের গুরুত্ব বিবেচনা করে এখন থেকে এই খাতকেও সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্ব দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে এই গবেষণার সুপারিশ পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি এসএমই ফাউন্ডেশনের বোর্ড সভায়ও এ নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। সেই সাথে এসএমই ফাউন্ডেশনকে এই গবেষণার ফল কাজে লাগাতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান তিনি।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here