ঢাকা, রবিবার, ২০ অক্টোবর ২০২৪: দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য চোখের ছানি অপারেশন আরও সহজলভ্য করতে বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটালকে দুটি আধুনিক ফ্যাকো মেশিন দিয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক।
স্বাস্থ্যখাতে ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি (সিএসআর) উদ্যোগ ‘অপরাজেয় আমি’-এর আওতায় এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান এবং বাংলাদেশ আই হসপিটাল অ্যান্ড ইনস্টিটিউট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান ৬ অক্টোবর ২০২৪ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এই উদ্যোগটির আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন।
চোখের ছানি অপসারণ করতে ফ্যাকো মেশিন অপরিহার্য। এর ফলে হাসপাতালটি বছরে হাজার হাজার মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবে। হাসপাতালটিকে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের মানুষের, বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে ব্যাংকটির দেওয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
এই উদ্যোগটি দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতকে উন্নত করার ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের নিবেদিত প্রচেষ্টার উদাহরণ বলে বিশ্বাস করেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী যে, বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটালকে উন্নত চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের মাধ্যমে চক্ষুসেবা বঞ্চিত মানুষদের জীবনে উল্লেখযোগ্য এবং দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন নিয়ে আসতে অবদান রাখবে ব্র্যাক ব্যাংক।”
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য ব্র্যাক ব্যাংকের এই উদ্যোগের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডা. নিয়াজ আব্দুর রহমান বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা সরঞ্জামগুলো বাংলাদেশ আই ট্রাস্ট হসপিটালকে আরও বেশি সার্জারি পরিচালনা করার সক্ষমতা প্রদান করবে। এর ফলে আরও বেশি মানুষ, বিশেষ করে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন এবং তাঁদের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে।”
ব্র্যাক ব্যাংকের ‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগটি স্বাস্থ্যখাতে ব্যাংকটির একটি উল্লেখযোগ্য সিএসআর উদ্যোগ, যা শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের সামাজিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে কাজ করে। এটি সামাজিক কল্যাণে ব্যাংকের অবিচল প্রতিশ্রুতি এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের ব্যাপারে ব্যাংকটির নিবেদিত প্রচেষ্টার উদাহরণ।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ১৮৭টি শাখা, ৫৩টি উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৫৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,০৮০টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং ৮ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। আঠারো লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৩ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।