নরসিংদী জেলার ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা (জিপিইউএফএফ) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা এটি।
রবিবার (১২ নভেম্বর)পলাশ উপজেলায় জিপিইউএফএফ প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন সার উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানি সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তিভিত্তিক এই কারখানার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি এ সার কারখানা উদ্বোধন উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক ডাক টিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী কারখানা চত্বরে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার কারখানাটি উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ডাক টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান ও জ্যেষ্ঠ সচিব জাকিয়া সুলতানা।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) জানায়, কারখানাটি ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। ১১০ একর জমিতে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কারখানাটির দৈনিক সার উৎপাদন হবে ২৮০০ মেট্রিক টন।
মোট ব্যয়ের মধ্যে সরকার চার হাজার ৫৮০ দশমিক ২১ কোটি টাকা দিয়েছে এবং ১০ দশমিক ৯২০ কোটি টাকা জাইকা, এইচএসবিসি এবং ব্যাংক অফ টোকিও মিত্সুবিশি ইউএফজে লিমিটেড থেকে ব্যবসায়িক ঋণ প্রকল্পের মাধ্যমে পেয়েছে।
কারখানার দুটি বাষ্পীয় গ্যাস জেনারেটর ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এবং প্ল্যান্টটি চালানোর জন্য ২৮ মেগাওয়াট প্রয়োজন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে কোভিড মহামারী শুরু হলে প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। একই বছরের ১৬ অগাস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু করে চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকার সংস্থান করে। আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ দেয়।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা