চলতি বছর নওগাঁ জেলায় বাদামের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরা খুশি। ভালো দাম পাওয়ায় বাদাম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের।
জেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তিন উপজেলায় এ বছর বাদাম চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৮ হেক্টর জমিতে ঢাকা-১ ও ২, ডিজিএম, বারী এবং ঝিঙ্গা জাতের বাদাম চাষ করা হয়েছে।
রানীনগর উপজেলার মিরাট ইউনিয়নে হামিদপুর, জালালাবাদ ও কালীকাপুর গ্রামের কৃষকরা এখন জমি থেকে বাদাম তোলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
মিরাট গ্রামের কৃষক জামাল মোস্তফা জানান, দুই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। এবার বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে বাদাম বড় হয়েছে এবং ফলনও ভালো হয়েছে। বাদাম চাষ করতে খরচ ও পরিশ্রম খুবই কম। বিঘা প্রতি প্রায় চার হাজার টাকার মতো খরচ হয়। বাদাম চাষে জমিতে কোনো কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
কৃষক জাকির জানান, বিল অঞ্চলের এ জমিগুলো আলু চাষ করার পর পড়ে থাকতো। এবার সেই জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। কাঁচা বাদামের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং শুকনো বাদাম সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা।
কৃষক জাবেদ আলী জানান, গত বছর দশ কাঠা জমিতে বাদাম চাষ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। এবার ২৫ কাঠা জমি বর্গা (আদি) নিয়ে বাদাম চাষ করেছেন তিনি।
রানীনগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার বলেন, “উপজেলায় এবার ২৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। পতিত জমিতে ঝিঙ্গা ও ঢাকা-১ জাতের বাদাম চাষ করে ভাল ফলন পাওয়ায় কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছেন।”
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা