ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি নানা আয়োজনে ফুড কনটেস্টটি শেফদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউটের মহাখালী ক্যাম্পাসে জাঁকজমকপূর্ণ কুকিং প্রতিযোগিতার হোস্ট ছিলেন ইন্সটিটিউটের রন্ধন প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান জাহিদা বেগম৷
সকালে শোভাযাত্রা করে ইন্টারন্যাশনাল শেফ ডে’র অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। এরপর কেক কেটে সেই আনন্দ ভাগ করে নেওয়া হয় সবার মধ্যে। কেক কাটার পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ফুড কনটেস্ট।
প্রতিযোগিতায় ৯টি গ্রুপে প্রতিযোগী শেফরা নিজেদের হাতে বানানো বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের খাবার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। ছিল দেশি-বিদেশি নানা স্বাদের খাবারের সমাহার।
সেসময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহাবুব আলী এমপি’র সহধর্মিণী শামীমা জাফরীন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের পরিচালক (বাণিজ্যিক) ও সরকারের যুগ্ম সচিব জামিল আহমেদ, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, কক্সবাজারের জিএম আজিম শাহ, হোটেল আমারি, ঢাকা’র জিএম ক্রিস্টোফার, আমারি’র এইচ আর ডিরেক্টর সাওয়াদ রশিদ চৌধুরী, কাতার এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপক তৈয়ব বকশীসহ হোটেল ও পর্যটন সেক্টরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
আয়োজনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ শাকের হুসেইন।
অন্যদের সঙ্গে বিচারকের দায়িত্ব পালন করা জামিল আহমেদ বলেন, ‘এই ফুড কনটেস্টে অংশ নেওয়া সবাই একেকজন স্টার শেফ যারা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম। তারা বাংলাদেশের প্রতিভাবান সন্তান।’
আয়োজন বিষয়ে ২০২২ এর সেরা রন্ধনশিল্পী শাহরিয়ার শিমুল উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন: যেকোন শেফ একজন শিল্পী। তিনি যেমন খাবারে ভিন্নতা আনেন, তেমনি রুচি এবং স্বাদ অনুযায়ী খাবারে পরিবর্তনের কাজও ভালোমতো করতে পারেন।
আয়োজকরা জানান, ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ শেফ সোসাইটির সাথে একযোগে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশ এই দিবসটি উদযাপন করছে। এবার প্রতিপাদ্য ছিল: গ্রোয়িং হেলদি ফিউচার। করোনা থেকে উত্তরণের পরিপ্রেক্ষিতে সুস্থ প্রজন্ম গঠনের লক্ষ্যে এই প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়।
পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা