কেক এবং বেকিং আইটেম সবসময় জনপ্রিয় এবং মুখরোচক খাবার। আর তা যদি হয় ঘরে তৈরি, তাহলে তো আর কথাই নেই। তাই ওয়াহীদা জীনাত শুরু করেছেন অনলাইনভিক্তিক তার নিজের তৈরি বেকিং অ্যান্ড কেকের উদ্যোগ।
ওয়াহীদা জীনাতের বাবার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। জন্ম পুরান ঢাকায়, পরে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জে। গণিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে। তার উদ্যোগ মূলত হোমমেড কেক এবং বেকিং আইটেমের যা অনলাইনভিক্তিক। পেইজের নাম “Baking n Cooking”.
২০১৮ সালে খুলনা থেকে ওমেন কালিনারি এসোসিয়েশন এর রান্না কম্পিটিশনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন ওয়াহীদা জীনাত। এরপর ড্যানকেক ডেজার্ট জিনিয়াস রিয়েলিটি শো-তে টপ টেনে ছিলেন। আরও অনেক ভার্চুয়াল কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন। “পরপর বেশ কয়েকটি প্রোগ্রামে কম্পিটিশনে প্রশংসিত হওয়ার পর মনে হলো এখন আমার কিছু করা দরকার। পরিবার ও কাছের মানুষ সবার উৎসাহও অনেক কাজে দিয়েছে, তাই সামনে এগিয়ে যেতে পেরেছি,” বলে জানালেন তিনি।
শুরুর স্মৃতিচারণ করে উদ্যোক্তা ওয়াহীদা জীনাত জানান: ২০১৯ এ মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে এই উদ্যোগ শুরু করে ছিলাম। বতর্মানে মাসে অর্ডার আসে ১০ থেকে ৪০টি। আমি মূলত কাস্টমাইজড কেক, ডায়বেটিক ডেজার্ট ও কেক, কিটো ডায়েট ফ্রেন্ডলি খাবার এবং যাদের দুধ জাতীয় খাবার সহ্য হয় না তাদের জন্য দুগ্ধজাত পণ্য ছাড়া খাবার এবং কেক বেশি করে থাকি। মাসে সেল হয় ৩০ হাজারের বেশি।
“ঘরেই আমি এগুলো তৈরি করি, সব ধরনের কাষ্টমারই আমার কাছে আসেন। এছাড়া আমার কিছু পুরনো ক্লায়েন্ট আছেন যারা দেশের বাইরে থাকেন। তারা প্রতিবার যাওয়ার সময় নিজের ও পরিবারের জন্য রেগুলার ফুড বা কেক নিয়ে যান। এমনকি অনেকে দেশের বাইরে থেকে দেশে তাদের নিজেদের আত্মীয়, পরিবার পরিজনের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুড ও কেক অর্ডার করেন । স্বামীর যেহেতু বদলীর চাকরী বর্তমানে ঢাকা ও চট্টগ্রাম দুই জায়গায়ই আমি কাজ করছি,” জানালেন ওয়াহীদা জিনাত।
বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “স্বামীর যেহেতু বদলির চাকলি তাই বেশ অনেকবার বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে আল্লাহর অশেষ রহমত আর মনের জোরে কাজের গতি অব্যাহ রাখতে পেরেছি।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে তিনি জানান, বেকিং এবং কেক নিয়ে একটা ইন্সটিটিউট করার ইচ্ছা আছে। সারাদেশে ভার্চুয়াল চেইনশপ/ ক্লাউড কিচেন করার ইচ্ছাও আছে।
তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ওয়াহীদা জীনাত বললেন, “আগে কাজ শিখে নিজের ভিত শক্ত করে তারপর ব্যবসায় আসা উচিত। দক্ষতাই উন্নতির মূলমন্ত্র।”
আফসানা অভি
উদ্যোক্তা বার্তা