অন্যকে খাইয়ে নিজে তৃপ্ত হওয়ার পাশাপাশি এ থেকে যদি হয় উপার্জন এবং যদি হওয়া যায় স্বাবলম্বী, তাহলে সোনায় সোহাগা। এমনই এক গল্প উদ্যোক্তা খাদিজা আক্তারের। দার্জিলিংয়ের মোমোর স্বাদ দেশীয়ভাবে তুলে ধরছেন তিনি।
২০১৯ সালে স্বামীর সাথে ঘুরতে গিয়েছিলেন দার্জিলিং। সেখানে বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন মোমোর। স্বাদ এতোটাই ভালো লেগেছিল যে নিজে এটা ব্যবসায়িকভাবে করবেন সিদ্ধান্ত নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে মোমো তৈরির রেসিপি দেখেন। সেই থেকে উদ্যোক্তার হওয়ার স্বপ্ন বুননে গড়ে তুলেছেন নিজেকেও।
উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি বলেন: দার্জিলিং ঘুরে এসেই আগে নিজেদের খাওয়ার জন্য মোমো তৈরি করার চেষ্টা করি। দেখতে চেয়েছিলাম টেস্ট হয় কি না। যখন বুঝতে পারি, যে মোমোর স্বাদ আমরা দার্জিলিংয়ে পেয়েছি, ঠিক তেমনটাই করতে পেরেছি, তখন আমার স্বামীও আমাকে অনুপ্রেরণা দেন ব্যবসা শুরু করার।
২০২০-এ স্বল্প পুঁজি নিয়ে হোমমেড ফুডের ব্যবসা শুরু করেন তিনি, ক্লাউড কিচেন নাম দিয়ে ফুড পান্ডার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবসা আগেই শুরু করেছিলেন। দেড় বছরের মাথায় নাম বদলে গড়ে তুলেছেন দার্জিলিং মোমো স্টেশন নামের রেস্টুরেন্ট। মিরপুর-২ এ এই মোমো স্টেশন। কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়া এবং সব ধরনের হাইজিন মেইনটেইন করে তিনি তৈরি করেন এ রেস্টুরেন্টের সব খাবার। নানা ধরনের মোমা ছাড়াও রেস্টুরেন্টের প্রধান খাবারের তালিকায় আছে বিভিন্ন ধরনের চিকেন ও বিফ কাবাব এবং ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের সি-ফুড।
প্রথমে নিজেই সব তৈরি করতেন। আউটলেট দেওয়ার পর থেকে চারজন কর্মী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন।
একজন উদ্যোক্তার যদি সততা, পরিশ্রম ও নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতার অভ্যাস থাকে তাহলে তার সাফল্য আসবেই বলে মনে করেন খাদিজা। দার্জিলিং মোমো স্টেশনের নাম আরও ছড়িয়ে যাবে- এমন স্বপ্ন দেখেন এই নারী উদ্যোক্তা।
মেহনাজ খান,
উদ্যোক্তা বার্তা