রাজশাহী মহানগরীতে “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২” কার্যক্রম উদ্বোধন

0

‘জনশুমারিতে তথ্য দিন, পরিকল্পিত উন্নয়নে অংশ নিন’ প্রতিপাদ্যে সারাদেশের মতো রাজশাহী মহানগরীতেও “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২” এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে মহানগরীর উপশহরস্থ নিজ বাসভবনে জনশুমারিতে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে “জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২” এর তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ. এইচ. এম খায়রুজ্জামান লিটন। পরে এ উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালিতেও অংশ নেন সিটি মেয়র।

আজ ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশে ৬ষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম চলবে।

রাজশাহী মহানগরীতে এর উদ্বোধন করে রাসিক মেয়র বলেন, সরকার ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে অবদান রাখার অভিপ্রায়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রথম ‘ডিজিটাল শুমারি’ পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। একটি দেশের সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়নে পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই কেউ যেন শুমারির গণনা থেকে বাদ না যান এবং কাউকে যেন একাধিকবার গণনা করা না হয়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

সকলকে তথ্য প্রদানের মাধ্যমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আহবান জানিয়ে জনশুমারির সফলতা কামনা করেন মেয়র।

সেসময় বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস রাজশাহীর যুগ্ম পরিচালক এস. এম. আনিসুজ্জামান, জেলা পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক কাজল রেখা, বিবিএস’র প্রোগ্রামার সাঈদা বেগম, রাসিকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন আনার, সিটি কর্পোরেশন শুমারি সমন্বয়কারী আসিফ ইকবালসহ সংশ্লিষ্ট এলাকার জোনাল অফিসার, সুপারভাইজার ও গণনাকারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় পরিসংখ্যান অফিস রাজশাহীর যুগ্ম পরিচালক এস.এম. আনিসুজ্জামান জানান, পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী ‘আদমশুমারি’-কে ‘জনশুমারি’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। জনশুমারি ও গৃহগণনা বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই পরিচালিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপকভিত্তিক পরিসংখ্যানিক কার্যক্রম।

স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ২য় জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮১ সালে। দশ বছর পর্যাবৃত্তি অনুসরণ করে দেশের ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম জনশুমারি ও গৃহগণনা যথাক্রমে ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৫-২১জুন, ২০২২ সময়ে মূল শুমারির তথ্যসংগ্রহ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

‘অর্থাৎ ১৫-২১ জুন ২০২২ তারিখ-কে ‘শুমারি সপ্তাহ’ হিসেবে এবং ১৪ জুন ২০২২ তারিখ দিবাগত রাত ১২.০০ টা (শূন্য মূহূর্ত ১৫ জুন)-কে ‘শুমারি রেফারেন্স পয়েন্ট/সময়’ হিসেবে বিবেচনা করা হবে,’ বলে তিনি জানান।

তিনি আরও জানান, বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশী নাগরিকদের তথ্যও এবারের শুমারিতে সংগ্রহ করা হবে। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানা বেষ্টিত অঞ্চলের সকল গৃহ, সাধারণ, প্রাতিষ্ঠানিক ও বস্তিখানা, ভাসমান জনগোষ্ঠী, খানায় বসবাসরত সকল সদস্যের জনতাত্ত্বিক ও আর্থ-সামাজিক তথ্য, যেমন- গৃহের সংখ্যা ও ধরন, বাসস্থানের মালিকানা, খাবার পানির প্রধান উৎস, টয়লেটের সুবিধা, বিদ্যুৎ সুবিধা, রান্নার জ্বালানির প্রধান উৎস, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, বৈদেশিক রেমিট্যান্স, খানা সদস্যদের বয়স, লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, প্রতিবন্ধিতা, শিক্ষা, কর্ম, প্রশিক্ষণ, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার, ব্যাংক/মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, জাতীয়তা, নিজ জেলা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here