শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২০২০ সালের জন্য জাতীয় উৎপাদনশীলতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।
রোববার (২৯ মে) সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন সম্মানজনক এ পুরস্কারে ভূষিত প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ট্রফি ও সনদ তুলে দিলেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এর আয়োজক শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অরগানাইজেশন (এনপিও)।
অনুষ্ঠানে পাঁচ ক্যাটাগরির ২৬ প্রতিষ্ঠানকে ‘ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ এবং একটি ব্যবসায়ী সংগঠনকে ‘ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পুরস্কার দেওয়া হয়।
বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে খাদ্যশিল্প খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে কোকাকোলার বাজারজাতকারী কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস। দ্বিতীয় হয়েছে প্রাণ গ্রুপের হবিগঞ্জ অ্যাগ্রো। একই ক্যাটাগরিতে ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স প্রথম, শেলটেক দ্বিতীয় ও রানার অটোমোবাইলস তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে এনভয় টেক্সটাইল। দ্বিতীয় অবস্থানে এম এম ইস্পাহানির পাহাড়তলী টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি মিলস। তৃতীয় করণী নিট কম্পোজিট।
বৃহৎ শিল্পের সেবা খাতে নিটল ইনস্যুরেন্স প্রথম হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে মীর টেলিকম, তৃতীয় ডিজিকন টেকনোলজিস। আইটি খাতে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেডকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। কেমিক্যাল খাতে প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস প্রথম, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) দ্বিতীয় এবং স্কয়ার টয়লেট্রিজ তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরির ইস্পাত ও প্রকৌশল খাতে প্রথম হয়েছে প্রাণ গ্রুপের আরেক প্রতিষ্ঠান সিলভান টেকনোলোজিস। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে মাসকোটেক্স। এ খাতে ইনডেক্স এক্সেসরিজ দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
আইটি খাতে মিলেনিয়াম ইনফরমেশন পুরষ্কার পেয়েছে। কেমিক্যাল খাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে বিআরবি পলিমার। আর দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে জিএমই অ্যাগ্রো।
ক্ষুদ্রশিল্প ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আহমেদ ফুড প্রোডাক্টস। তোহফা এন্টারপ্রাইজ পেয়েছে দ্বিতীয় পুরস্কার। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে জারমার্টজকে। মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে সুপার স্টার ইলেকট্রনিক্স পুরস্কার পেয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে ইস্টার্ন টিউবসকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে ইনস্টিটিউশনাল অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী তার বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের পুরস্কার ও স্বীকৃতির মাধ্যমে নতুন চিন্তার উন্মেষ ঘটবে, যা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় মানবসম্পদ, মেশিন ও অন্যান্য উপকরণের দক্ষ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার পাওয়ার পর সংগঠনগুলো একবিংশ শতাব্দীর চাহিদা পূরণে আরও সক্ষমতা অর্জন করবে।’
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা