কালাই রুটির সাথে ঢাকাবাসীকে পরিচয় করিয়ে দিতে এগিয়ে এসেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছেলে জামিল উর রহমান। জামিল স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম বিভাগ থেকে পড়ালেখা শেষ করেছেন। কাজ করেছেন কয়েকটি গণমাধ্যমে। সাংবাদিকতা করার সময় খাবার নিয়ে কাজ করেছেন বেশ কিছু সময়। সেখান থেকেই কালাই রুটিকে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত করতে উদ্যোগী হন তিনি।
জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরাঞ্চল দিয়্যাড়ের খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার কালাই রুটি। ওই অঞ্চলের অনেক কৃষক অনেক সময় এই রুটি খেয়েই সারাদিন মাঠে কাজ করেন, ফসল ফলান। মাসকালাইয়ের সাথে চালের আটার মিশ্রণে তৈরি হয় প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট আর মিনারেল সমৃদ্ধ ঐতিহ্যবাহী কালাই রুটি। তবে এই রুটি বানাতে ব্যবহার করা হয় না কোনো ‘ব্যালনা’ বা ‘পিড়া’। শুধু হাতের জাদুতে গোল হয় এই রুটি।
কালাই রুটির জন্মস্থান চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কারিগর এনে ঢাকায় এই রুটি জনপ্রিয় করার কাজ শুরু করেন জামিল। সাংবাদিকতা ছেড়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেন ব্যবসায়। পরিবারের অনেকের আপত্তি থাকলেও জামিল জানতেন তিনি সফল হবেন। হয়েছেনও।
উদ্যোক্তা জামিল জানান “কালাই রুটিকে বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই তার মূল লক্ষ্য। এরইমধ্যে দূর দুরান্ত থেকে কালাই রুটির স্বাদ নিতে ছুটে আসছেন অনেকে।”
করোনাকালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে খুবই সচেতন। স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে যাতে খাবার পরিবেশন করা হয়, সে বিষয়ে জামিল নিজেই তদারকি করেন। ‘কালাই রুটির আড্ডার কালাই রুটির সাথে জনপ্রিয় খাবারের নাম ধনে পাতা, লবণ, ঝাল আর বেগুন ভর্তা। স্বল্পমূল্যে সাথে থাকছে লবণ ঝাল ভর্তা, স্পেশাল বট, স্পেশাল গরুর মাংস, স্পেশাল হাঁসের মাংস, স্পেশাল আচার, যা যেকোনো খাবার প্রেমীকে আকৃষ্ট করবে।
সপ্তাহে সাতদিন দুপুর ১২:৩০ টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত খোলা থাকে ‘কালাই রুটির আড্ডা’। করোনার সময় ঢাকাবাসী বাসা থেকে বের হতে পারতেন না। তখন থেকেই আছে ‘ফুড পান্ডা’ কিংবা ‘পাঠাও’ এর মাধ্যমে ঘরে বসে অর্ডার করার সুযোগ। এখনও এই সার্ভিস চালু আছে।
মাসুমা শারমিন সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা