সওদাগর এগ্রো ফার্ম এর স্বত্ত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল। রাজশাহীর কাটাখালী এলাকার শ্যাম্পুর গ্রামে ২০১৮ সালে ছয়টি গরু নিয়ে তার খামারটি গড়েন।বর্তমানে খামারটিতে চারটি শেডে ব্রাহমা, হলিস্টিন, ফ্রিজিয়ান, মুন্ডি সহ নানা জাতের অসংখ্য গরু রয়েছে।
গরুগুলোর প্রধান খাবারের তালিকায় রয়েছে কাঁচা ঘাস এবং দানাদার খাবার। এছাড়াও মাঝে-মাঝে খামারের গরুগুলোকে মুলাসিস ও দেওয়া হয়ে থাকে। সওদাগর এগ্রো ফার্ম গড়ে উঠায় গরু গুলোকে খাওয়ানো, গোসল করানো, খামার পরিষ্কার,দুধ দোহা সহ বেশ কিছু কাজের জন্য ঐ এলাকার অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান ও সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান এই উদ্যোক্তা। চার মার্চ সেরা গবাদি পশু খামারি হওয়ায় মাননীয় মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের হাত থেকে দিপ্ত কৃষি অ্যাওয়ার্ড ২০২১ গ্রহণ করেন উদ্যোক্তা ইয়াসির আরাফাত রুবেল।
করোনাকালে খামারে উৎপাদিত দুধ বিক্রয় নিয়ে বিপাকে পড়লে বিকল্প বাজার খুঁজতে সম্প্রতি রাজশাহীর ভদ্রাতে রসগোল্লা নামে আরেকটি উদ্যোগের সূচনা করেন তিনি এবং তার আরেক খামারি বন্ধু। ভদ্রা রেলগেট এলাকায় রসগোল্লার বিক্রয়কেন্দ্রও চালু করেছেন তারা।
আম, কমলা, মরিচ, খেজুর গুড়ের রসগোল্লা, হাঁড়ি ভাঙা সহ ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের মিষ্টি রয়েছে রসগোল্লাতে। তবে এই রসগোল্লার বিশেষত্ব হলো এখানকার মিষ্টিগুলো পরিবেশন করা হয় বরিশালের মৃৎশিল্পিদের হাতে তৈরি মাটির হাঁড়িতে। মিষ্টি ভর্তি মাটির হাঁড়ি শিকায় ঝুলিয়ে আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়ার দৃশ্য এখন রসগোল্লা সামনের নিয়মিত চিত্র।
তামান্না ইমাম,
উদ্যোক্তা বার্তা