২০১৩ সাল থেকে কালিনারি আর্টিস্ট হিসেবে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন থেকে স্বীকৃতি পান। তারপরে রান্না বিষয়ক কার্যক্রমে পূর্ণ উদ্যোমে এগিয়ে যাচ্ছেন আপন গতিতে। আর সেই হার না মানা উদ্যোক্তা সংগঠকের নাম শারমিন আক্তার জুঁই।
ছোট থেকেই রান্নার প্রতি অগাধ ভালোবাসা তার। তাই এবিষয়েই পড়াশুনা করছেন বিভিন্ন ইন্সটিটিউটে। পাশাপাশি, নিজের একাডেমিক পড়াশুনাও এগিয়ে নিয়ে গেছেন। চাঁদপুর সরকারি কলেজ, তিতুমীর কলেজের শিক্ষা জীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রথম যোগ দেন শিক্ষকতায়। কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেছেন বেশ লম্বা সময়। তারপরে এমিরেটস এয়ারলাইন্স এ কাজ করেছেন বেশ কিছুটা সময়।
শারমিন আক্তার জুঁই ভালোবাসেন রান্না করতে, রান্না বিষয়ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে। এমনকি দেশের বাইরেও গিয়েছেন এই রন্ধনপ্রেমী। বিভিন্ন সময় নিজের রন্ধন জ্ঞান বাড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত।
বাবা ছিলেন চাঁদপুরের এক স্বনামধন্য পৌরসভা মেয়র। বাবাকে দেখেছেন মানুষের জন্য কাজ করেছেন আজীবন। তাই, মেয়ে হিসেবেও তেমনই নামতে হবে জনসেবায়। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে নিজের মতো করে। অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিভাবে মানুষের সেবায় লাগানো যায় তাই উদ্যোক্তার মূল ভাবনা। একে একে নিজের কর্ম দক্ষতাগুলো দিয়ে মাঠে নামলেন। রান্নার যেই অভিজ্ঞতা তার, তাই ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার জুঁই।
বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের প্লাটফর্ম বিজয়ীর প্রেসিডেন্ট তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “নারীরা বিজয়ের পথে এগিয়ে যাবে। তারা যে কোনো কিছুতেই বাধার সম্মুখীন হলে যাতে সহযোগিতা পায় তার জন্যই আমাদের প্লাটফর্ম। আমরা নারী উদ্যোক্তাদের পাশে সবসময়ই থাকি। তাদের জন্যই কাজ করি। তাদের প্রশিক্ষণ সহ যেকোনো রকম সহযোগিতা পাওয়া যায় আমাদের প্লাটফর্মে।”
উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার জুঁই কালিনারি আর্টিস্ট হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। তার স্বামী একজন সেনা কর্মকর্তা। ক্যান্টনমেন্টেই তিনি তার কাজের একটা ভূবন গড়ে তুলেছেন। অনানুষ্ঠানিক ভাবে সৈনিকদের স্ত্রীদের রান্না বিষয়ক ট্রেনিং দেন তিনি। সম্প্রতি ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের ইলিশ উৎসবে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছেন।bবাংলাদেশের একমাত্র সরকারিভাবে স্বীকৃত কুকিং ফাউন্ডেশন চাঁদপুরের লবি রহমান কুকিং ফাউন্ডেশনের প্রসিডেন্ট হিসেবে পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করছেন।
শারমিন আক্তার জুই বিভিন্ন উদ্যোক্তা প্লাটফর্মে কাজ করেছেন দীর্ঘ দিন। তবে, সেখানেও কিছু ত্রুটি দেখে নিজেই মাঠে নেমেছেন। নারী হিসেবে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। তবুও, দমে যান নি তিনি। এগিয়ে যাচ্ছেন পূর্ণ উদ্যোমে।
মশিউর শাফী, উদ্যোক্তা বার্তা