১৬৮ বছরের ইতিহাসে দেশে সর্বোচ্চ চা উৎপাদনে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ৷ কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সকল চা বাগানের সব রকম কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। গত বছর ১৬৭ টি বাগান এবং ক্ষুদ্রায়তন ও অন্যান্য বাগান মিলে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা ২০২০ সালের তুলনায় ১ কোটি ১১ লাখ কেজি বেশি। ২০২১ সালে ছোট বড় সব বাগান মিলিয়ে রেকর্ড পরিমান চা সংগ্রহ করার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশের চা বোর্ড। এর আগে ২০১৯ সালে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৬৯ হাজার কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। যা ছিল সেই সময় পর্যন্ত দেশে চা শিল্পের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ। চা বোর্ডের তথ্য অনুসারে, ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনীছড়ায় দেশের প্রথম বানিজ্যিক চা বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়। লর্ড হার্ডসন ১৫০০ একর জায়গার উপর এই চা বাগান প্রতিষ্ঠা করেন। সেই থেকে ২০১৬ সালে সর্বোচ্চ ৮ কোটি কেজি চা উৎপাদন ছিল সর্বোচ্চ, যা ছাপিয়ে ২০১৯ সালে উৎপাদন ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি হয়।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘কোভিড পরিস্থিতিতেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশের সব চা বাগানের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। সরকারের আর্থিক প্রণোদনা, বানিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়মিত মনিটরিং ও পরামর্শ প্রদান, বাগান মালিক ও শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টা, সঠিক সময়ে ভর্তুকি মূল্যে সার বিতরণ, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চা নিলাম কেন্দ্র চালু রাখা, চা শ্রমিকদের মজুরি, রেশন এবং স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণের ফলে ২০২১ সালে দেশের চা উৎপাদন অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও বলেন, “উত্তরাঞ্চলে চা চাষীদের ‘ক্যামেলিয়া খোলা আকাশ স্কুলে’র মাধ্যমে চা আবাদ বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের ফলে শুধু সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে ২০২১ সালে আগের বছরের তুলনায় ৪১ শতাংশ বেশি চা উৎপাদন সম্ভব হয়েছে।”
চা বোর্ডের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, উত্তরাঞ্চলে সমতলের চা বাগান ও ক্ষুদ্র চা চাষ থেকে ২০২১ সালে রেকর্ড এক কোটি ৪৫ লাখ মিলিয়ন কেজি চা জাতীয় উৎপাদনে যুক্ত হয়েছে, আগের বছর এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩ লাখ কেজি।
দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টি সিলেট অঞ্চলে অবস্থিত। এরমধ্যে মৌলভীবাজারে সর্বোচ্চ ৯১টি, হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, চট্টগ্রামে ২১টি, পঞ্চগড়ে ৮টি বাগান, রাঙামাটিতে ২টি এবং ঠাকুরগাঁয়ে ১টি বাগান আছে।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা