ঢাকা থেকে বেশ কিছুটা দূরে আয়োজিত হচ্ছে এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছা এবং সহযোগিতায় ঢাকার বাইরে পূর্বাচলে আয়োজিত হচ্ছে এবারের মেলা। ঢাকার বাইরে হওয়ায় অনেকের শঙ্কা ছিল এবারের মেলার সফলতা নিয়ে। পাশাপাশি আরও একটি আতঙ্ক ওমিক্রন। তবে মেলা প্রেমী বাংলাদেশীরা সেই ধারনা ভুল প্রমাণ করেছে।
দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা উদ্যোক্তাদের প্রতিষ্ঠান ঐক্য ডট কম ডট বিডি এর একজন প্রতিনিধি মেলায় এসে ক্রেতা সমাগমের উপস্থিতির ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। তিনি জানান, ‘সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের তৈরী শতভাগ দেশী পণ্য নিয়ে কাজ করা আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের স্টলে এসে ক্রেতা দর্শনার্থীরা বেশ উপভোগ করছেন। তাদের পছন্দমতো পণ্য তারা ক্রয় করছে এবং দেশী উদ্যোক্তাদের প্রশংসা করছে।’
মেলায় ইরান থেকে আসা আংটির উদ্যোক্তা মোহাম্মাদ জানান বাংলাদেশের মানুষের ব্যাপারে। তিনি বলেন, ‘প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় বংলাদেশী মানুষের ভালোবাসায় আমরা বারবার এসেছি।এখানে এসে আমাদের যেমন প্রত্যাশা ছিল তা আমরা পুরন করতে পারছি আলহামদুলিল্লাহ।মুসলিম জাতি হিসেবেও বাংলাদেশী মুসলিমরা ইরানি মুসলিমদের ভালোবাসায় সিক্ত করছে।’
ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব রোধ করতে মাস্ক পরিধান করে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মেলা পরিদর্শন করছেন দর্শনার্থীরা। মেলায় আসা ক্রেতারা বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে উপভোগ করছে এই মেলা।
মেলায় সুদুর পুরান ঢাকার বংশাল থেকে আসা দর্শনার্থী ফেরদৌস আলম বলেন, “ঢাকার বাইরে হলেও আমরা এসে বেশ উপভোগ করছি এই মেলা।আমাদের প্রানের মেলা এই বাণিজ্য মেলা।দেশের এবং বিদেশের বেশ কিছু পণ্য ক্রয় করলাম আমি পরিবার এবং নিজের জন্য।” আরেকজন দর্শনার্থী তার অনুভুতি তুলে ধরেন উদ্যোক্তা বার্তার কাছে।
তিনি উদ্যোক্তা বার্তা কে বলেন, “করোনার প্রাদুর্ভাব আবার বেড়ে যাওয়ায় প্রত্যেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মেলায় ভ্রমন করছি।সবাই বেশ আনন্দিত আমরা এই মেলায় এসে।”
বাণিজ্য মেলা পুরো জনুয়ারি মাস ব্যাপী চলবে যেখানে প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শনার্থীরা এসে উপভোগ করতে এবং তাদের প্রয়োজনীয় পণ্যটি এক ছাদের নিচে থেকে সংগ্রহ করতে পারছে।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা