হুমায়রা মোস্তফা সোহানী চার বোনের আদরের বড় বোন। বাবা মোঃ মাহবুব মোস্তফা ও মা (মৃত) মমতাজ কাউসার। ছোটবেলা থেকেই চিত্রকর্মের প্রতি ছিল প্রচন্ড দু্র্বলতা। ঢাকার মেয়ে হলেও উদ্যোক্তার বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চিত্রশিল্পেও নিয়েছেন প্রশিক্ষণ।
নিজের একটা প্রতিষ্ঠান গড়ার স্বপ্ন সবসময়ই তার ছিলো। পড়াশুনা শেষ করে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসাবে কাজ করেন। তারপর স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেন নিজের প্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু, দরকার পুঁজি তাই নিজের নিজের কয়েকটি চিত্রকর্ম বিক্রয় করেন সেখান থেকে ৫০,০০০ টাকা নিয়ে যাত্রা শুরু সোহানী’স ইন্টেরিয়র এর।
১১ জন স্থায়ী কর্মী নিয়ে ২০১৩ সালে শুরু। অনলাইনে তার পেইজ ‘সোহানী’স ইন্টেরিয়র’। প্রথম দিকে উদ্যোক্তার অনেক বেশী কষ্ট করতে হয়েছে। তাই কাছের মানুষদের কাছ থেকে নিতে হয়েছে আর্থিক সহায়তা। পরিবারের সহায়তা পেয়েছেন সবসময়ই। কিন্তু পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতা ছিলো অনেক বেশী। তারপরও নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে চলেন তিনি।
বর্তমানে তিনি রেসিডেন্সিয়াল এন্ড কমার্শিয়াল ডিজাইন, ল্যান্ডস্কেপ আর্কিটেকচার, ইকো ফ্রেন্ডলি ডিজাইন নিয়ে কাজ করছেন। সংসার এবং কর্মস্থল সবকিছু সামলে নানা প্রকল্প নিয়ে বর্তমানে কাজ করছেন এই নারী। নিজের দক্ষতা বাড়াতে উদ্যোক্তা সোহানী দিল্লির সারদা বিশ্ববিদ্যালয় হতে Sustainable Design এ এমফিল করেছেন।
সোহানী’স ইন্টেরিয়রে স্থায়ী কর্মী ১৪ জন, চুক্তি ভিত্তিক ৪০ জন ও মাঠ পর্যায়ে ১৫০ জনের বেশী কর্মী কাজ করছে। তার কোন ফ্যাক্টরি নাই কিন্তু ওয়্যার হাউজ ও একটি শপ আছে। তার মেশিনারি গুলো পোর্টেবল তাই কাজের জায়গায় সহজেই মেশিনারিজ গুলো নিয়ে যাওয়া যায়।
ভবিষ্যতে তার পরিবেশ বান্ধব কাজ করার বেশী ইচ্ছা।তিনি মনে করেন আমাদের এই পরিবেশকে সুন্দর রাখতে দরকার পরিবেশ বান্ধব দালানকোঠা। নতুনদের জন্য তার পরামর্শ হলো, পরিশ্রম করে ভালো জায়গায় এগিয়ে যাওয়া।
মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা