গতকাল সোমবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা মিলনায়তনে মুন্নি আক্তারকে এ পদক দেওয়া হয়।
জার্নালিস্ট সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের আয়োজনে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বিশেষ অবদানের জন্য মুন্নি আক্তার এ পদকে ভূষিত করা হয়।
অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ শেষে অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন ‘এ এক আনন্দময় মূহুর্তে যা এই ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমি আমার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ এই পুরষ্কার পেলাম ভবিষ্যৎ এ ভালো কাজ করার দায়িত্ব আরো বেড়ে গেলো।দেশবাসী, আমার রাজশাহীবাসী আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আগামীতে আরো ভালো কাজ করতে পারি আরো অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।’
এবছরের শুরুতেই রাজশাহীর বিসিক শিল্পাঞ্চলের বড় মঠপুকুর এলাকায় ‘বিসিক ঐক্য উদ্যোক্তা মেলা ২০২১’- এ অংশ নিয়ে নন্দন সাহিত্য একাডেমি থেকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে তার অবদান ও কীর্তির স্বীকৃতিস্বরুপ স্বাধীনতার ৫০ বছর সুবর্ণজয়ন্তী সম্মাননা ২০২১-এ ভূষিত হয়েছিলেন।
সেখান থেকে তিনি মাদার তেরেসা গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
রাজশাহী মহিলা টিটিসি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৮ সালে উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু করেছিলেন মুন্নি আক্তার। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মাহি বুটিক হাউস’।শুরুতে মূলধন ছিল মাত্র ৫২৫ টাকা। রাজশাহীর কেশবপুর পুলিশ লাইন শাপলা গেটের বিপরীতে মাহি বুটিক অবস্থিত।
কোন স্পৃহা থেকে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘পড়াশোনা শেষ হওয়ার পরও আমি অন্য কারো উপর নির্ভরশীল থাকবো,নিজের প্রয়োজনে স্বামী বা অন্যের কাছে হাত পাতার বিষয়টি বরাবর আমার খারাপ লাগতো সে কারনেই আমি নিজে স্বাবলম্বী হতে এবং আরো অনেক নারীকে স্বাবলম্বী করতে উদ্যোক্তা হয়েছি।’
ব্লকবাটিকের শাড়ি, থ্রিপিস, অ্যাম্বুসের ড্রেস, কুশিকাটার জুতা, কাপল সেট,ফ্যামিলি সেট, হ্যান্ডপেইন্টের যাবতীয় পোশাকের সমারোহে সাজানো মাহি বুটিক হাউস।
ফেসবুকে ‘মাহি বুটিক হাউস’ নামে পেজ রয়েছে যেখান থেকেও তিনি সারাদেশে মাহি বুটিকের পণ্য ছড়িয়ে দিচ্ছেন।
বর্তমানে তার তিনজন সহযোদ্ধা রয়েছেন। এছাড়াও অর্ডার বেশি থাকলে সেসময় অনেকেই এখানে কাজ করে নিজেদের হাত খরচ চালিয়ে নিতে পারেন। মাত্র ৫২৫ মূলধন আজ লাখ টাকা হয়েছে।
আমাদের সমাজের যেসকল মা-বোনরা এখনো বেকার তাদের সকলকে তিনি উদ্যোক্তা হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই কোন না কোন কাজে পারদর্শী তো বটে সেকাজ বাছাই করে সেটা সম্পর্কে বিশদে জেনে কাজ শুরু করুন নিশ্চয়ই সফল হবেন।হাত পেতে টাকা নেওয়ার থেকে কষ্ট করে উপার্জন বেশি সম্মানের। এতে নিজের পাশাপাশি আমাদের বাংলাদেশ ও এগিয়ে যাবে।’
তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা