বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মধ্যে দেড় লাখের বেশি গ্রামীণ নারী প্রযুক্তিতে সাবলম্বী হবেন বলে জানিয়েছেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনোমিক প্রোগ্রামের পরিচালক সোফিয়া শাকিল।
সম্প্রতি, লন্ডনের ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস ও হুয়াওয়ের আয়োজিত “স্ট্র্যাটেজি ফর অ্যাড্রেসিং দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ডিজিটাল ড্রাইভ – ইনক্রিজিং কানেক্টিভিটি টু ড্রাইভ ইকোনোমি রিকোভারি” শীর্ষক ওয়েবিনারে এ বিষয়ে তিনি আলোকপাত করেন।
ওয়েবিনারে অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট সংযোগের খরচ কমাতে ও ডিজিটাল শিক্ষার বিকাশে সকল খাতের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রয়োজন; যা বৈশ্বিক মহামারিকালীন সময়ে ডিজিটাল বৈষম্য হ্রাসে ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করবে।
এশিয়া ফাউন্ডেশনের ইকোনোমিক প্রোগ্রামের পরিচালক সোফিয়া শাকিল নারী বেকারত্বের ওপর মহামারির নেতিবাচক প্রভাব এবং দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, ‘‘২০১৭ সালে হুয়াওয়ে, বাংলাদেশ সরকার (আইসিটি বিভাগ) ও রবি আজিয়াটা যৌথভাবে দেশের গ্রামীণ পর্যায়ের কেন্দ্রে নারীদের ডিজিটাল দক্ষতা বৃদ্ধিতে ডিজিটাল ট্রেনিং বাস প্রকল্প চালু করে। এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারেরও বেশি নারী এখান থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন এবং ২০২৩ সালের মধ্যে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার জন এর থেকে স্বাবলম্বী হবেন।’’
সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইনের (এসইউটিডি) লি কুয়ান ইইউ সেন্টার ফর ইনোভেটিভ সিটির পরিচালক পুন কিং ওয়াং মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধিতে ও সময়পোযোগী করতে দীর্ঘমেয়াদী কৌশল ও টেকসই সহযোগিতা এবং ডিজিটাল রূপান্তরে শ্রমিকদের সুস্থতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গতিশীল বাজার ও তরুণদের মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ডিজিটাল রূপান্তরের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুযোগের সীমাবদ্ধতা সবার মাঝে ডিজিটাল সুবিধা প্রাপ্তিকে বাধাগ্রস্ত করে, যা বৈশ্বিক মহামারি থেকে পুনরুদ্ধারে বাঁধা স্বরূপ। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে আইসিটি প্রযুক্তি হতে পারে একটি প্রধান মাধ্যম।
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “এটা শুরুই হবে যারা এখনও ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত নয়, তাদের সংযুক্ত করার মাধ্যমে।”
তিনি এশিয়া অঞ্চলে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে তিনটি প্রধান স্তম্ভকে একত্রিত করে হুয়াওয়ের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন: আইসিটি সংযোগ, দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা ও সবুজ প্রযুক্তি।
ওয়েবিনারে বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞরা ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তির জন্য সরকার, সংশ্লিষ্ট খাত, তৃতীয় পক্ষের চিন্তাশীল নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ নিশ্চিতের মাধ্যমে একসাথে ইকোসিস্টেম তৈরির বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
উদ্যোক্তা বার্তা রিপোর্ট