তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন স্টার্টআপের বিকাশ বাড়াতে আমরা ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্ট্রোপ্রেনিউরশিপ একাডেমি আইডিয়া তৈরি করছি।
সোমবার বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ খাতের উন্নয়নে ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, গত ৪ বছরে আমরা ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পেরেছি এই স্টার্ট-আপ সেক্টরে। বিশেষ করে ফিনটেক, লজিস্টিক এবং ডিজিটাল কমার্স স্টার্ট-আপে।
বাংলাদেশ-ভারত স্টার্টআপ খাতের উন্নয়নে বিষয়ে পলক বলেন: এই আয়োজন বাংলাদেশ এবং ভারতের স্টার্টআপ কমিউনিটির জন্য তথ্যবহুল ও উপকারী হবে এবং এই অঞ্চলে তাদেরকে একত্রে তাদের একত্রে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যত গঠনে সহযোগিতা করতে উৎসাহিত করবে।
বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ খাতের মধ্যে সম্প্রসারিত সহযোগিতাকে শক্তিশালী করতে ‘শত বর্ষ শত আশা— রাইজ আপ’ শীর্ষক ছয় পর্বের ওয়েবিনার সিরিজটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা; স্টার্টআপ বাংলাদেশ; সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং স্টার্টআপ ইন্ডিয়া।
সোমবার আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এই ওয়েবিনার সিরিজের উদ্বোধন করেন। স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা জাবীন অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ‘রাইজ আপ’ প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশ ও ভারত থেকে পরামর্শদাতা, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারীদের একত্রিত করবে। এই প্ল্যাটফর্মটি পারস্পরিক শিক্ষণের সুযোগ তৈরি করবে, যা দুই দেশের মেধাবী উদ্যোক্তাদের কাজে লাগবে বলে আমরা আশা করছি।
হাইকমিশনার এ বছরের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকালে ৫০ জন বাংলাদেশি উদ্যোক্তাকে ভারত পরিদর্শন এবং ভারতের স্টার্টআপ ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের স্টার্টআপ ল্যান্ডস্কেপ: টেক স্টার্টআপস ট্রান্সফর্মিং দ্য ফিউচার’ বিষয়ক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ভারত ও বাংলাদেশের স্টার্টআপ খাতে কর্মরত বিশিষ্ট প্যানেলিস্টরা এ আলোচনায় অংশ নেন।
তাদের মধ্যে ছিলেন মোহালির ইন্ডিয়ান স্কুল অব বিজনেসের (আইএসবি) স্টার্টআপ ইনকিউবেশন অ্যান্ড এক্সিলারেশন বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা যামিনী ভূষণ পাণ্ডে, ভারতের আইএসপিআরটি ফাউন্ডেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও জাতীয় স্টার্টআপ উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শরদ শর্মা, চালডাল ডটকমের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম আলীম এবং অ্যাংকরলেস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী রাহাত আহমেদ। আলোচনা সঞ্চালনা করেন লাইটক্যাসল পার্টনার্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী বিজন ইসলাম।
স্টার্টআপের নিয়ন্ত্রক পরিবেশ, সফল স্টার্টআপ তৈরির বাধা অতিক্রম করা, তহবিল সংগ্রহের কৌশল, স্টার্টআপকে আন্তর্জাতিকে যাওয়ার কৌশল এবং বাংলাদেশ ও ভারতে স্টার্টআপের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের বিষয়ে আরও আলোচনা হবে এই সিরিজ ওয়েবিনারে। ‘শত বর্ষ শত আশা— রাইজ আপ‘ ওয়েবিনার সিরিজটিতে সহযোগিতা করেছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ স্টার্টআপ কনসোর্টিয়াম ও বিডি এয়ার।
সেখ মুসফেক -উস -সালেহীন
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা