ট্রিম টেক্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সাহিদা পারভীন বিগত কয়েক বছর যাবত কাজ করছেন পাটজাত পণ্য নিয়ে। দেশ-বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে আয় করছেন বৈদেশিক মুদ্রা, সঙ্গে সুনাম।
গত ২৮ মার্চ ইউরোপের কাছ থেকে পান ৪০ হাজার পণ্যের অর্ডার। কিন্তু মহামারী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার আবারো লকডাউন দিতে বাধ্য হয়। সেই ক্ষেত্রে সাহিদা পারভীন মুখোমুখি হোন নতুন চ্যালেঞ্জের। এই লকডাউনেই কর্মীদের নিয়ে কাজ শুরু করেন জোরেসোরে। এর মধ্যে দুইটি রঙের অনুমোদন পেতে সময় লাগে বেশ কয়েক দিন। সেই অনুমোদন পান গত ১৬ এপ্রিল এবং আরো দুইটি রঙের অনুমোদনের জন্য সাত দিন সময় চেয়ে নেন। মে মাসের এক তারিখ সাহিদা পারভীন জার্মান, ফ্রান্স ও ইতালিতে সেই পণ্য সফলভাবে রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছেন।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে উদ্যোক্তা সাহিদা পারভীন বলেন, “আমাদের হাতে আরো অনেকগুলো অর্ডার হাতে এসেছে এবং ইতোমধ্যে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।” আরো বলেন, “আমি প্রতিশ্রুতি ও সঠিক মানের দিকে বিশ্বাসী, একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসা চলে সঠিক মান এবং প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে৷ এই দুইটি বিষয় মাথা রাখলে সফলভাবে ব্যবসা করা সম্ভব।”
নিজের কাজ নিয়ে উদ্যোক্তা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, “যতই ঝড় ঝামেলাই থাকুক না কেন সময়মত কাজ করে সেখানে যদি সাফল্য থাকে, সার্থকতা থাকে তাহলে অনেক ভালো লাগে। এই কাজগুলো করতে গিয়ে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হতে হয়েছে সেগুলো যাতে পরবর্তীতে আমরা কাটিয়ে উঠতে পারি সেদিকে আমরা মনোযোগ দিয়েছি আগের চেয়ে বেশি। আমরা যেহেতু উন্নত জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছি সেই হিসেবে আমাদের সময়কে আরো গুরুত্ব দেয়া উচিত যাতে আমরা কাজগুলো আরো সহজ করে আনতে পারি৷”
উদ্যোক্তা বার্তার সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা সাহিদা পারভীন বলে,” উদ্যোক্তা বার্তা আমাদের মত যাদের কাজ জনগণের কাছে তুলে ধরছে তা দেখে আরো অনেকেই অনুপ্রাণিত হবে। প্রত্যেকটা কাজের আনন্দ বা সার্থকতা তখনই যখন আমাদের কথাগুলো, আমাদের কাজগুলো বা আমাদের কাজগুলো যেভাবে দেখছে তা আরো দশজনের সামনে উপস্থাপন করে তাদের অনুপ্রাণিত করে এবং আমার মত আরো অনেকেই সকলের সামনে বের হয়ে আসে উদ্যোক্তা বার্তার মাধ্যমে তাহলে আমার কাছে এর সার্থকতা আরো বেশি মনে হবে।”
পরিশেষে সাহিদা পারভীন যোগ করেন, “মানুষ কাজে মাধ্যমে বড় হবে, ছোট হবে এবং কাজের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকবে।”
সাবিত আল বাশার
উদ্যোক্তা বার্তা, ঢাকা