মহামারি করোনায় সবার জন্য মাস্ক পরার বিষয়টিকে জরুরি করে তুলেছে। সুযোগটি নিয়েছে জাপানি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ডোনাট রোবোটিকস। তারা একটি বিশেষ স্মার্ট মাস্ক তৈরি করেছে, যা আধুনিক মাস্কের মতো সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি সহজে নিশ্চিত করতে পারবে।
বার্তা সংস্থা সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, সি-ফেস স্মার্ট মাস্ক নামের এ মাস্কের সঙ্গে অ্যাপ সংযুক্ত করা যায়। মাস্কের মাধ্যমে কণ্ঠস্বর বাড়িয়ে তোলা, কথার স্বতন্ত্র প্রতিলিপি লেখা ও আটটি ভিন্ন ভাষায় তা অনুবাদ করতে পারে এটি। সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ বাজারে আসতে পারে সি-মাস্ক।
ডোনাট রোবোটিকসের পক্ষ থেকে মহামারির সময় সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি উন্নত যোগাযোগের জন্য এয়ারলাইন ও সুপার মার্কেটের কর্মীদের জন্য মাস্কের নকশা করা হয়। মোবাইল ফোনে এটি ব্লুটুথের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে হয়। এরপর অ্যাপের মাধ্যমে জাপানি থেকে চীনা, কোরিয়ান, ভিয়েতনামি, ইন্দোনেশিয়ান, ইংরেজি, স্প্যানিশ ও ফ্রেঞ্চ ভাষায় অনুবাদ করা যায়।
জাপানি প্রতিষ্ঠানটি তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক অনুবাদ প্রযুক্তিটি মূলত তাদের ‘সিনামন’ নামের একটি রোবটের জন্য তৈরি করেছিল। বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের সহায়তা করতে পারে সিনামন রোবটটি। তবে মহামারির সময় অধিকাংশ দেশ বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়ার পর ডোনাট তাদের তৈরি সফটওয়্যারটি মাস্কে প্রয়োগ করে। এতে বিমানবন্দর বা স্বাস্থ্য খাতের কর্মীরা সুরক্ষা কাচের ভেতর থেকে বা মুখ ঢেকেও কথা বলতে পারেন।
সি-মাস্ক তৈরির জন্য ক্রাউডসোর্সিংয়ের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ করে প্রতিষ্ঠানটি। গত জুন মাসে মাত্র ৩৭ মিনিটে জাপানের ফান্ডিনো ওয়েবসাইট থেকে ২ লাখ ৬৫ হাজার মার্কিন ডলার তহবিল উঠে যায়। জুলাই মাসে আরেকবার তহবিল সংগ্রহের কাজ করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ডিসেম্বর নাগাদ জাপানে ৫ থেকে ১০ হাজার মাস্ক তারা সরবরাহ করতে পারবে। প্রতিটি মাস্কের দাম পড়বে ৪০ থেকে ৫০ মার্কিন ডলার। আগামী বছরের এপ্রিল মাস নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সরবরাহ চ্যানেল বাড়ানোর কথা ভাবছে জাপানের প্রতিষ্ঠানটি।
(তথ্যসূত্র ও ছবি ইন্টারনেট থেকে)