দেশের প্রতিটা সেক্টরে নারীদের এখন স্বাধীন বিচরণ উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনায় আজ অনেক এগিয়ে নারীরা।
আজ শনিবার রাজধানীর গুলশানের রেঁনেসা হোটেলে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ই-কমার্স শিল্পে নারীদের ভূমিকা বিষয়ক অধিবেশন এবং নারী প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য অনুষ্ঠিত আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সিনিয়র সচিব এন. এম. জিয়াউল আলম। গেস্ট অব হনর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ (সচিব) এবং বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সংগীতা আহমেদ।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম।
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) এ এন এম সফিকুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) এবং ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার যৌথভাবে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ সিধান্ত ও পরিকল্পনায় নারীরা আজ অনেক এগিয়ে। প্রতিটা সেক্টরে নারীদের এখন স্বাধীন বিচরণ। নারী ক্ষমতায়ন ও বলিষ্ঠ নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের এই প্রয়াসকে আমি স্বাগত জানাই।’
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ই-কমার্সে একটা বিশাল বিপ্লব ঘটে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূরদর্শিতায় সম্পূর্ণ নতুন ইনফ্রাস্ট্রাকচারে ই-কমার্স দারুণভাবে এগিয়ে গেছে। ডিজিটাল লেনদেন বাড়ার পাশাপাশি অর্থনীতিতে ই-কমার্সের অবদান বেড়েছে প্রায় ৬০-৭০ শতাংশ। সবথেকে বড় কথা এই দুর্যোগকালীন সময়ে নারীরা যেকোনো ভাবেই হোক টিকে থেকেছে। এমনকি ই-কমার্সে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে দুর্দান্ত গতিতে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য, নারীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করা।’
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এবং আর্থিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি নারী প্রশিক্ষণার্থী আই.সি.টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে। অধিবেশন শেষে এই সকল প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি সনদপত্র বিতরণ করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা