মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ময়মনসিংহ বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ময়মনসিংহের জয়িতা সম্মাননা। জেলা পর্যায়ে পাঁচজন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে পাঁচজন, মোট দশ জনকে জয়িতা সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। জেলা এবং বিভাগীয় উভয় পর্যায়েই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
‘শেখ হাসিনার বারতা, নারী পুরুষ সমতা’, ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্যে ময়মনসিংহে বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়।
জয়িতা সম্মাননা জানানোর দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়। আমন্ত্রিত অতিথি, বিচারকমণ্ডলী এবং জয়িতাদের আসন গ্রহণের পর বিভাগীয় প্রশাসন, ময়মনসিংহ বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বিভাগীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সরাসরি যুক্ত হন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে সেখানে জয়িতাদের জীবনযাত্রা নিয়ে ডকুফিল্ম প্রদর্শিত হয়। এ বছরের নির্বাচিত জয়িতারা একে একে তুলে ধরেন তাদের অনুভূতি।
জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ এ ধরনের সম্মাননার যাত্রা শুরু করে ২০১৩ সাল থেকে। অদম্য নারীদের জীবনযাত্রা, যারা শত প্রতিকূলতা পার করেও এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যে তাদেরকেই সম্মাননা জানিয়ে থাকে জয়িতা ফাউন্ডেশন। অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন ২০১৩ সালের ঢাকা বিভাগে, অর্থনৈতিক ক্যাটাগরিতে আর্থিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী সর্বপ্রথম জয়িতা আইনুন নাহারসহ আরো অনেকে।
সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের জয়িতাদের চিহ্নিত করে তাদের যথাযথ সম্মান, স্বীকৃতি ও অনুপ্রেরণা প্রদান করে সমাজের আপামর নারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করা এবং তাঁদের জয়িতা হতে অনুপ্রাণিত করা তাদের উদ্দেশ্য।
জয়িতা সম্মাননার পাঁচটি ক্যাটাগরি হলো- অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী, সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন যে নারী।
সাদিয়া সূচনা