এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ মোবাইল ফোন সার্ভিসিং পেশাটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। প্রায় ২৫ লক্ষ লোকের জীবিকা নির্বাহ করছে এর মাধ্যমে। সৃষ্টি হচ্ছে শত শত উদ্যোক্তারা। এটি একটি মেধাভিত্তিক আত্মকর্মসংস্থান। অসংখ্য তরুণের মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে মাত্র দুই দশকে এটি একটি শিল্পে পরিণত হয়েছে।
নতুন সেট ক্রয় না করে প্রায় ৬০ বিলিয়ন টাকা ক্ষতির থেকে দেশ ও দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে মোবাইল ফোন সার্ভিসিং পেশার উদ্যোক্তারা।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মোবাইল ফোন সার্ভিসিং পেশার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় প্রতিনিয়ত এই সেক্টরটি বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
তাই মোবাইল ফোন সার্ভিসিং এর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের জন্য আজ ৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক পরিচিতি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।অনুষ্ঠানে গৃহীত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য গুলো ছিল- বাংলাদেশের আইন বিরোধী যেকোনো কার্যক্রমকে মোবাইল সার্ভিসিং সেক্টর থেকে দূর করে এবং যাদের কারণে এই মোবাইল ফোন সার্ভিসিং শিল্পের ক্ষতি হচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তা করা।
মোবাইল ডিভাইসের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর সার্ভিসের জন্য যেকোনো টুলস অথবা সফটওয়্যার তৈরি বা উদ্ভাবনকারীকে তার পণ্য জাতীয়ভাবে ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রচার এবং উৎপাদনে সর্বাত্বক সহযোগিতা করা। দেশের মোবাইল সার্ভিসিং সেক্টরে নিয়োজিত সকলকে একতাবদ্ধ রাখা ও বিপদের সময় সংগঠনের পক্ষ হতে সহযোগিতা করা।
মোবাইল ডিভাইসের সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার সার্ভিস সেন্টারের ট্রেনিং সেন্টার গুলোকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ট্রেনিং প্রদানে সহায়তা করা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের BTEB অর্থাৎ বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ড এর পরীক্ষা প্রদান করতে সনদায়নের মাধ্যমে সকল টেকনিশিয়ানকে সনদ প্রদান করে সরকারিভাবে স্বীকৃতি প্রদানে সহায়তা করা।
কর্মমুখী দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করে ও কর্ম দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অতি দ্রুত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে অবদান রাখা।
মোবাইল সার্ভিসিং সেক্টরের হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার সার্ভিসিং কাজের মান নিয়ন্ত্রণে কাস্টমার সেবার মান বৃদ্ধি ও তদারকি করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক মানের সফটওয়্যার তৈরি করা যার দ্বারা প্রত্যেক সার্ভিস সেন্টারের কাজগুলো পরিচালিত হবে এবং মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে কর্মরত আছেন তাদের জীবন মান উন্নয়নে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ও স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা।
এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের আহবায়ক আব্দুল গনি পাটোয়ারী মামুন, সদস্য সচিব সামছুদ্দিন ফয়েজ, নির্বাহী সদস্য তৌহিদ উজ জামান, বশির উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল শরীফ, রকি সাহা, মোঃ কোবির হোসাইন, মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম, আলতাফুর রহমান, ইয়াছিন আহমেদ, রিয়াজ আহমেদ, বদরুদ্দোজা ঝন্টু, নূর মোহাম্মদ, ফরিদ উদ্দিন ফয়সাল, রহমত উল্লাহ কিরণ, আরিফুর রহমান, মহিউদ্দিন রকি, মোঃ ইলিয়াস, সাকিব আল হাসান, এস এম তারেক, নাছিরুল ইসলাম সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সহকর্মী, থানা, জেলা, বিভাগ, কার্যনির্বাহী ও আহ্ববায়ক কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দ এবং উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
বিপ্লব আহসান