কাজের শুরুটা ছিলো গয়না নিয়ে। ইম্পোর্টেড সব গয়না, কিন্তু কোথায় যেন কিছু একটা মিসিং ছিলো। ঠিক তৃপ্তি পাচ্ছিলেন না ফাহরাবী। আর দেশীও পণ্য খুব টানতো তাকে। সেই ভালোবাসা থেকেই “মনীপুরি” পণ্য নিয়ে কাজ করা। মাথায় একটা বিষয় খুব ভালো করে গেঁথে ছিলো যে তিনি যেন কমপক্ষে ৫ জন তাঁতীর পরিবারের দায়িত্ব নিতে পারেন, কারণ তখন তাঁতী পল্লীর খুব করুন দশা ছিলো। এটাও একটা কারণ তার মনীপুরি নিয়ে কাজ করার বলে তিনি জানান।
মনিপুরী নিয়ে কাজের শুরুটা সেই ২০১৭র শেষের দিক থেকে, তার আগে ছোট পরিসরে কাজ করা হতো। কিন্তু বাণিজ্যিক ভাবে এর শুরুটা ২০১৭তেই। পুরো নাম ফাহরাবী বীনতে সাদেক। জন্ম, বড় হওয়া সব কিছুই ঢাকায়। পড়াশোনা ঢাকা কেন্দ্রীক, মাস্টার্স ‘সরকারি বাংলা কলেজ’ থেকে আর এমবিএ ‘নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’ থেকে। ফাহরাবীর ছোট বেলা থেকেই শখ ছিলো ব্যবসা করার। বাবার মত নিজের কাজ করার জায়গাটা স্বতন্ত্র রাখার। তাই তো তার এ পথে পা বাড়ানো।
উদ্যোক্তা বলেন, “বলতেই হবে কোভিড আমাদের জীবন যাত্রার ক্ষেত্রে অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। সেই সময়টাকে কাটিয়ে ওঠাই ছিলো আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সময়টাতে চেয়েছি ব্যবসায় মনোনিবেশ না করে সবার পাশে থাকতে। যাতে করে খুব তাড়াতাড়ি আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি। আমি আমার জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। সবাইকে সাথে নিয়ে এই বাজে সময়টাকে পার করতে। আসলে সেই সময়টাকে ব্যবসার কথা খুব একটা চিন্তা করা হয়নি, তবে যেহেতু আমার উপর কিছু কিছু কাস্টমার ডিপেন্ড করে, তাদের জন্য খুব সামান্য পরিসরে হলেও ব্যাবসা চালিয়ে নিতে হয়েছিলো”।
“মৈরাং” নিয়ে উদ্যোক্তা ফাহরাবীর পরিকল্পনা বরাবর একই জায়গায়। আমাদের দেশীও এই শিল্প কে যথা সম্ভব পুরো বিশ্ব কে পরিচয় করানো। নতুন করে ফিউশন করে অন্য দেশকেও আমাদের পণ্য ব্যাবহার করানো।
তিনি বলেন, “আমাদের মত যারা নতুন তাদের জন্য বলবো, যে কোন কাজকে ভালোবেসে লেগে থাকলে সাফল্য একদিন ঠিক ঠিক ধরা দেবে, নতুনদের জন্য অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা থাকবে সবসময়। আর যে কোন প্রয়োজনে পাশে আছি। আর বলতেই হবে আমি খুব লাকি আমার কর্মক্ষেত্রে। প্রথম থেকে আমার পরিবারের পূর্ণ সাপোর্ট পেয়ে এসেছি। সব সময় তারা আমার পাশে থেকে আমার চলার পথে অনুপ্রেরণা হয়েছে। আমি চাই সকল অভিভাবক এমন হোক তাদের সন্তানের জন্য”।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা